মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

ভূমিখেকোদের নয়া কৌশল : সিংগাইরের গ্রামে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে রাতে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম চকে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত এ কর্মকাণ্ডের শুধু ধরন পরিবর্তন করেছে মাটিখেকোরা। দিনের পরিবর্তে এখন রাতের আঁধারে শত শত গাড়ি মাটি নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে কাটলে অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। যদি কেউ মামলা করে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পত্রিকায় লেখায় দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করতে মাটি ব্যবসায়ীদের খরচের পরিমাণটা একটু বেড়েছে। কাজের কাজ হয়নি কিছুই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জড়িতরাও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চারিগ্রাম চকে মেসার্স ফ্রেন্ডস এন্টারপ্রাইজের নামে মাটি ব্যবসায়ী ই¯্রাফিল, খোরশেদ, পাপুল, রিয়াজুল, নান্টু ও ফিরোজ ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি কাটা শুরু করে। এ নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ‘সিংগাইরে লোভের ফাঁদে কৃষক- মাটি খেকোরা বেপরোয়া, শত শত বিঘা জমি জলাশয়ে পরিণত’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর সামান্য হলেও নড়ে চড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।
সাময়িকভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। দুদিন না যেতেই ধরন পাল্টে দিনের পরিবর্তে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় মাটি কাটার মহোৎসব। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে কাটা অব্যাহত আছে। অন্যত্র নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক ও ট্রলি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ প্রশাসনের আইওয়াশ মাত্র। মাটি ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সখ্য করেই রাতের আঁধারে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এ কর্মযজ্ঞ। থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীলদের একাধিকবার নক করলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। জড়িতদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা দূরের কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযান পরিচালানাও চোখে পড়েনি।
মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত পাপুল ও ই¯্রাফিল বলেন, যেহেতু মাটির ব্যবসা করি আর মাটি বিক্রির টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। যে কোনো কৌশলে মাটি বিক্রি করতেই হবে। পত্রিকায় লেখলে সেটাও ম্যানেজ করে নিতে হবে।
স্থানীয় চারিগ্রাম ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা খায়রুল বাশার তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে বলেন, রাতের আঁধারে মাটি কাটার বিষয়টি আমি ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যারকে অবগত করেছি।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে ইউএনও স্যারের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ক্ষমতা রয়েছে। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, রাতে মাটি কাটলে ব্যবস্থা নিতে আমাদের জন্য কঠিন হয়। কেউ মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়