সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

হামলার ভয়ে জমিতে যেতে পারছেন না কৃষক : চাটমোহর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের হামলা ও মামলার ভয়ে প্রায় ১০০ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না চাটমোহরের কয়েকজন কৃষক। ফলে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১৮ বিঘা জমি অনাবাদী পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিকার পেতে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী আতাহার আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯২৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি খরিদ, পত্তন, ওয়ারিশ ও হেবা দলিল সূত্রে মোট ১৪ একর ৯৬ শতক (৪২ বিঘা) জমির মালিক হন চাটমোহর উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নম্বর প্রামাণিক। পরে তার ছেলে ময়েজ উদ্দিন ও মনছের আলী তাদের নামে এ জমির খাজনা খারিজ করা হয়।
সেই জমির মধ্যে নিজেদের ওয়ারিশান দাবি করে খতিয়ান টেম্পার করে কৌশলে আকবার আলীর নাম বসানো হয়।
১৯৮৫ সালে আকবার মোল্লার ছেলে এস্কেন্দার আলী একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই জমির মালিকদের মধ্যে আকবার আলী ওয়ারিশ নন বলে প্রমাণিত হলে মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
অতঃপর এস্কেন্দার গং ১৯৯২ সালে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর ১৯৯৩ সালে স্থানীয় সালিশ বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এস্কেন্দার গং জমি পান না।
এদিকে, ১৯৯৮ সালের ১১ আগস্ট এস্কেন্দার আলীর মায়ের মৃত্যু হলেও ১৯৯৯ সালে মৃত মাকে জীবিত দেখিয়ে তাকে বাদী করে মামলা করেন এস্কেন্দার গং। মৃত ব্যক্তি বাদী হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ২০০৫ সালের ২৮ আগস্ট বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। ভুক্তভোগী জমির মালিক আতাহার আলী ও আব্দুল মজিদ বলেন, এস্কেন্দার আলী গং এভাবে বছরের পর বছর একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করে জয়লাভ করতে না পারলেও মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আতাহার আলী, আব্দুল মজিদসহ তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে আসছেন। এস্কেন্দার গং গায়ের জোড়ে মালিকানা দাবি করে আমাদের জমি চাষ করতে দিচ্ছেন না। অনেকবার হামলা করে আমাদের পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে আহত করেছে। জমি চাষ করতে গেলে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে আসছে।
অভিযোগের বিষয়ে এস্কেন্দার আলী বলেন, জমি কে পাবে তা নির্ধারণ করবে আদালত। তিনি আপিল করেছেন বলে জানালেও আপিলের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
চাটমোহর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। দুই পক্ষকে মীমাংসার থানায় ডাকা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়