সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

রাউজান নির্বাচন অফিসে ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কক্ষের সামনে ‘স্যার অফিসে নেই। দয়া করে দরজা ধাক্কা দেবেন না’- এমন লেখা সম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে গত কয়েকদিন ধরে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাউজানে উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে যোগ দেন এস এম এ কাদের। এর আগে তিনি স›দ্বীপ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাউজানে যোগদানের পর থেকে নানা অজুহাতে পদে পদে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ সেবা প্রার্থী সাধারণ মানুষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শ্বশুর মারা যাওয়ার অজুহাতে গত সোমবার থেকে অফিস করছেন না রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার এস এম এ কাদের। গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গেলে কথা হয় সেবা প্রার্থী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে। তাদের একজন রাউজানের শেষপ্রান্থ বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. মিন্টু। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেননি।
ভোটার নিবন্ধন ফরম জমা দিতে এসে ‘স্যার অফিসে নেই। দয়া করে দরজা ধাক্কা দেবেন না’ লেখাটি দেখে অফিসে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হন নির্বাচন অফিসার না আসা পর্যন্ত জমা দেয়া সম্ভব নয়। ইমরান নামে সুলতানপুর জান আলী মুন্সির বাড়ির এক যুবক এনআইডি সংশোধনের জন্য এসে ফিরে যান। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রাশেদ বলেন, আমার এক প্রবাসী আত্মীয়ের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে সব ডকুমেন্ট দেয়ার পরও হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত দুইবার এসেও কাজ হয়নি। আবার রবিবার আসতে বলেছেন। মো. আরফাত নামে এক তরুণ একটি অক্ষর সংশোধনের জন্য উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন থেকে এ পর্যন্ত তিনবার এসে ফিরে গেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রির দায়িত্বে থাকা জনি বলেন, নির্বাচন কর্মককর্তার শ্বশুর মারা গেছেন। তিনি ছুটিতে আছেন। গত সোমবার থেকে তিনি অফিসে আসছেন না। কবে আসবেন তা জানাতে না পারলেও আগামী সপ্তাহে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলিত দায়িত্ব) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, তার শ্বশুর মারা গেছেন বলে শুনেছি। হয়ত তিনি ছুটিতে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়