দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

স্কুলের ময়লা-আবর্জনার আগুনে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : স্কুলকক্ষ ও আশপাশের কুড়ানো কাগজপত্র, ময়লা-আবর্জনায় দেয়া আগুনে শিশু ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। পাথরঘাটার লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল ফারজানা (৮)।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের একটি পুরাতন ভবনের একপাশে কুড়ানো ওই ময়লা-আবর্জনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল বলে জানা যায়। এ সময় ওই আগুনেই শিশুটি দগ্ধ হয়।
স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ফয়সাল জানান, শিশুটির শরীরে আগুন জ্বলতে দেখে তিনি দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন। তাৎক্ষণিক ফারজানাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান।
প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তারসহ স্বজনেরা ফারজানাকে বার্ন ইউনিটে পৌঁছুলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। সোমবার মধ্যরাতে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শিশু ফারজানা পাথরঘাটার পূর্ব লাকুরতলা প্রাইমারি স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রী ও লাকুরতলা গ্রামের ফারুকের দ্বিতীয় কন্যা। চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ফারজানার মা কলি বেগম সেখানে অবস্থান করছেন। শিশু ফারজানা তার বাবার সঙ্গে দাদা বাড়িতে থাকে এবং ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে আসছিল।
শিক্ষক সালমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ফারজানা দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছুটি শেষে ফারজানা বাড়িতে না গিয়ে স্কুল মাঠে খেলা করছিল। বারোটার ক্লাস শুরু হলে আমরা সবাই ক্লাসে প্রবেশ করি। পরে ডাক চিৎকার শুনে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিচে নেমে ফারজানায় গায়ে আগুন জ্বলতে দেখি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ্ আলম বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনার পর শিশু শিক্ষার্থীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। আমিও তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই।
পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরও বার্ন ইউনিটে যান। তবে শিশুর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক তাকে বাঁচাতে পারেননি।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ফারজানার পরিবার কোনো ধরনের অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়