দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

মাদারগঞ্জ খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ শূন্য

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির, জামালপুর (মাদারগঞ্জ) থেকে : চলতি আমন মৌসুমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হলেও এ পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেয়ার কোনো সাড়া মেলেনি। মাদারগঞ্জ খাদ্য গুদাম এক কেজি ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি।
বর্তমানে খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেননি। ফলে মাদারগঞ্জ খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান খোলা বাজারেই বিক্রি করছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে মাদারগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ৮৪৭ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ মণ ধানও ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য গুদাম।
মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি জানান, সরকারি দরের চেয়ে খোলা বাজারে দাম অনেক বেশি। বর্তমানে বাজারে মোটা ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল প্রতি কেজি ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান চাল দিলে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। তাই কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। এমনকি মিল মালিকরাও খাদ্য গুদামে চাল দিতে আগ্রহী না। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে তাহলে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়