নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

ভুয়া নামজারিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের জমি বেহাত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : চরফ্যাশনের চর মানিকা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের ফাঁদে ৪০ বছরের ভোগদখলে থাকা জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের পরিবার। উপজেলার চর আইচা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানের দাতা আবদুস সাত্তারের জমি তিন ক্রেতার কাছে বিক্রির পর তার খতিয়ানে অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ জমি থাকলেও খতিয়ান গোপন করে আবদুস সাত্তার মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কাছে ওই খতিয়ানে আরো ৩১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ফরিদ উদ্দিন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে ওই ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৩১ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারি করে নেন। ওই ভুয়া নামজারি দিয়ে ফরিদ উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের কোটি টাকা মূল্যের ৮২ শতাংশ জমি জবর দখল করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কারসাজিতে জবর দখল হওয়ার পর থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে তার ভোগদখলীয় বেহাত হওয়া জমি পুনরুদ্ধার চেয়ে প্রশাসনের সহযোতিতার জন্য গত রবিবার সকালে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। নুরুল আমিন হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, চর আইচা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানে ১৯৭৯ সালে সানু মিয়ার কাছ থেকে ৮২ শতাংশ জমি কিনে প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলে আছেন। ওই খতিয়ানে ১ একর ৪৬ শতাংশ জমির সামনের অংশে রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন সানু মিয়ার ভাতিজা আবদুস সাত্তার, যা থেকে তিনি ১৯৯৬ সালে নুরুল আমিন মুন্সির কাছে সাড়ে ৬২ শতাংশ, ১৯৯৮ সালে শাহ আলমের কাছে ৬২ শতাংশ এবং একই বছরে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২১ শতাংশসহ মোট ১ একর ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি সাব কবলা করে বিক্রি করেন। এই তিন ক্রেতাই তাদের জমি নিজ নিজ নামে জমাখারিজ করে নেন। ফলে আবদুস সাত্তারের খতিয়ানে অবশিষ্ট ছিল ৫০ শতাংশ। কিন্ত তিনি ২০২১ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৩১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ফরিদ উদ্দিন চর মানিকা ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মারুফ হোসেনকে ম্যানেজ করে ভুয়া দলিল দেখিয়ে তার নামে ৩১ শতাংশ জমি নামজারি করে নেন। এ ঘটনায় গত বছর মিস মামলা করে ফরিদ উদ্দিনের নামজারি বাতিল চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার, যার তদন্ত চলছে। মিস মামলা ও সার্ভেয়ারের তদন্ত চলমান থাকলেও ফরিদ উদ্দিন ৩১ শতাংশ জমির ভূতুরে দলিল ও নামজারি দিয়ে এখন তার ৪০ বছরের ভোগদখলীয় ৮২ শতাংশ জমি জবর দখল করে বাড়িঘর তৈরি করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চর মানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন বলেন, ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মিস কেইস চলমান আছে, যেখানে পূর্ববর্তী মিস কেস বাতিল করে ফরিদ উদ্দনের নামে সৃজিত খতিয়ানটি বাতিলের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান বলেন, ভুক্তভোগীদের কাগজপত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়