নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

পিএসজির হারের রাতে শিরোপা জিতল বার্সা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে গত রবিবার রাতে চির প্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। এই নিয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি সুপার কাপ জিতলো জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। অপরদিকে লিগ ওয়ানের ম্যাচে মেসি, নেইমার এবং এমবাপ্পে মাঠে নামলেও রেনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা ও রিয়াল। ম্যাচটির পুরো সময়ে মাঠে আধিপত্য ছিল বার্সেলোনার। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ করে রিয়াল মাদ্রিদকে কোনঠাসা করে দেয় পেদ্রি-গাভিরা। পুরো ম্যাচে তেমন কোনো সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে মেসির সাবেক ক্লাবটি। মাত্র ১১ মিনিটেই ম্যাচের লিডে যাওয়ার সুযোগ আসে বার্সার কাছে। কিন্তু লেভানদোভস্কি বলে মাথা ছোঁয়াতে পারলেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটেই আবার আক্রমণ করেন তিনি। তবে গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল গোলপোস্ট থেকে ফিরে আসে। একের পর এক আক্রমণের পর ১৮ মিনিটের সময় আক্রমণের সুযোগ পায় রিয়াল। তবে বেনজেমার লক্ষ্যে না যাওয়া হেড হতাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের।
নিজেদের সীমানায় অ্যান্টোনিও রুডিগার সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে ভুল করে বসেন। পাস দিতে গিয়ে বল হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ ভুল থেকে বল আদায় করে নেন লেভানডস্কি, তার থেকে বল পেয়ে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল আদায় করে নেন গাভি। বার্সেলোনার হয়ে গাভির পা থেকে প্রায় এক বছর পর গোল আসে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পাল্টা-আক্রমণ থেকে আরেকটি গোল যোগ হয় বার্সেলোনার স্কোরবোর্ডে। মাঝমাঠ থেকে থ্রæ পাস দেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। সে বল নিয়ে গাভি ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর তার ক্রস থেকে লক্ষভেদ করেন লেভানদোভস্কি। এ গোলের মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ২-০ গোলে লিডে থাকে কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনা।
বিরতি থেকে ফিরে মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় আবারো গোলের সুযোগ পায় বার্সা। তবে উসমান দেম্বেলের জোড়ালো শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে কোর্তোয়া নিজেদের রক্ষা করেন। নিজেদের সীমানায় আবার ভুল করার কারণে শেষ রক্ষা হয় নি তাদের। বল হারানোর পর গাভির পাস থেকে অনায়াসে বল জালে ঢুকান পেদ্রি। এ ফাইনাল ম্যাচে প্রথমবার গাভি ও পেদ্রি একই ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন। ৮০তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম কঠিন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হনে বার্সেলোনা গোলরক্ষক। রদ্রিগোর দূর থেকে নেওয়া শট দারুণ নৈপুণ্যের সাথে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান কমাতে সক্ষম হন বেনজেমা। বক্সে তার প্রথম শট প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বল নিচু শটে জালে পাঠান ফরাসি তারকা। তবে সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় এই গোলে রিয়ালের উচ্ছ¡সিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না।
শিরোপা জয়ের পর বার্সা কোচ জাভি বলেন, ‘সমর্থকদের জন্য এই ট্রফি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সা¤প্রতিক সময়ে এই ক্লাবকে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, আর্থিক সমস্যা, লিওর (মেসির) বিদায় ছিল বড় ধাক্কা। এখন আমি খুশি। এই ট্রফি আমাদেরকে মানসিকভাবে শান্তি দেবে।’
বার্সা খেলোড়ারদের খেলার ধরনও এ ম্যাচে আশানুরূপ ছিল। রিয়ালকে বল পায়ে রাখতে সারাক্ষণই বাধা দিতে পেরেছে তারা। এ প্রসঙ্গে শাভি বলেন, ‘ট্রফি জয়ের চেয়ে আমি বেশি খুশি, যেভাবে আমরা জিতেছি। জয়ের ধরনটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে পিএসজিকে একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রেন। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে সতীর্থের কাট-ব্যাকে শট নিয়ে গোল পান হামারি ত্রাওরে। বিরতির পর এমবাপ্পে মাঠে নেমে সহজ একটি বল মিস করার কারণে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি পিএসজি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়