নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

পার্বতীপুর : ৫ শিক্ষার্থীকে স্কুলে ভর্তি না নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার দুটি হরিজন পল্লীর ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দিনাজপুর পার্বতীপুর রেলওয়ে হরিজন পল্লীর নেতা প্রতাপ বাসফোঁড় গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে গত রবিবার সন্ধ্যায় হরিজন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযাগ করেছেন। হরিজন সম্প্রদায়ের ভর্তি বঞ্চিত ৫ শিশুর ঘটনায় পার্বতীপুর শহরের ২ হরিজন পল্লীর প্রায় ২০০ পরিবারের সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, ভর্তিবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির বর্ষা রানী বাসফোঁড় (১১) গত বছর বার্ষিক পরীক্ষায় আবদুল ওহাব কিন্ডার গার্টেন থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। তার মা রুমকি বাসফোঁড় সোমবার ফোনে জানান, তার মেয়েকে পার্বতীপুর উপজেলার মুজিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি করতে নিয়ে যান। কিন্তু হরিজন স¤প্রদায়ের সন্তান হওয়ায় বর্ষাকে ভর্তি নিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপারগতা প্রকাশ করেন। ইসিকা বাসফোঁড় (৮) কে নিয়ে তার বড় ভাই রাহুল বাসফোঁড় শহরের দক্ষিণপাড়ার বেসরকারি এফ রহমান কিন্ডার গার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করতে গেলে একই অভিযোগে ভর্তি করা হয়নি। সাধনী বাসফোঁড়কে (৯) নিয়ে তার মা রিতা বাসফোঁড় একই স্কুলের ৩য় শ্রেণিতে এবং জোসনা বাসফোঁড় (১০) ও গোবিন্দ বাসফোঁড় (৮) কে তাদের নিকটাত্মীয় কিরণ বাসফোঁড় আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ ও ২য় শ্রেণিতে ভর্তি করতে নিয়ে যান। কিন্তু প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেরা নি¤œ জাতের অজুহাত তুলে তাদের ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেন।
গতকাল সোমবার এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হয় পার্বতীপুর উপজেলার মুজিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মেরিয়া সুলতানা এবং আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মল্লিকা রানী ও এফ রহমান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তবে তারা ৩ জন হরিজন স¤প্রদায়ের সন্তান হওয়ায় ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে ভর্তি না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহমাদুল হাসান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিজ নিজ শ্রেণিতে ভর্তি নেয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়