নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

কাবিটা-কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম, বঞ্চিত শ্রমিক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাগর তালুকদার, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) থেকে : তারাকান্দা উপজেলায় অতি দরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার মানুষের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এক্সকাভেটর দিয়ে সস্তায় মাটি কাটা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। 
জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার কাজে তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে কাবিটা প্রকল্পে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং কাবিখার ২.৯০০ টন গম, চাল ২.৯০০ টন বরাদ্দ ছিল। 
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাবিটা প্রকল্পে ফরিদপুর ব্রিজ থেকে তারাটি ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং কাবিখা প্রকল্পে চাড়িয়া বাজার সোহেলের দোকান থেকে ঘোষপাড়া কালাম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণে ২.৯০০ টন গম বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ওই দুটি রাস্তায় দৃশ্যমান কোনো কাজ চোখে পড়েনি। অথচ ওই সব প্রকল্পের ৫০ শতাংশ বিল উত্তোলন করেছেন প্রকল্প চেয়ারম্যান। আর এসব অনিয়ম হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে রামপুর ইউনিয়নে ডিবি রাস্তা থেকে রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে সাহাবুদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নিমাণে ২.৯০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
রামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন জানান, ভেকু দিয়ে ঘণ্টায় ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে মাটি কেটে রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছেন তিনি। তবে ওই প্রকল্পে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন। অথচ প্রকল্পের কমিটি, শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাধ্যমে মাস্টাররোল পিআইও অফিসে জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন তিনি।
৬নং ওয়ার্ডের রামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্রকল্প চেয়ারম্যান মুকুল মিয়া বলেন, ‘ফরিদপুর ব্রিজ থেকে রাস্তা নির্মাণ কত লাখ টাকার প্রকল্প তা আমি জানি না। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল রহমান ভুলে ৫০ শতাংশ বিল উত্তোলন করেছেন। 
ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল রহমান বলেন, ‘কাবিটা-কবিখা প্রকল্প চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলেন।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম তালুকদার জানান, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রশ্নই আসে না। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বিল দেয়া হবে না। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়