পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকট : নোবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকট দূর করার দাবিতে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিভাগটির নির্ধারিত ‘ক্লাস টেস্ট’ পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ঠিকমতো ক্লাস করা যায় না। পরীক্ষাগুলোও যথাসময়ে দেয়া সম্ভব হয় না। এর মধ্যে আবার নতুন আরেকটি ব্যাচের ভর্তিপ্রক্রিয়া চলছে। নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হলে সংকট আরো তীব্র হয়ে উঠবে। দীর্ঘদিন ধরে সমাজকর্ম বিভাগের শ্রেণিকক্ষের সংকট চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের কাছে একাধিকবার ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষকেরাও বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেও কোনো ফল পাননি। এ কারণে শিক্ষকদের না জানিয়েই শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিভাগের তিন ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০। ওই বিভাগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবনের পঞ্চম তলার একটি কক্ষকে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একটি কক্ষেই তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সমস্যা চলছে।  
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো- নতুন শিক্ষক ও শ্রেণি কক্ষ বরাদ্ধ দিতে হবে, লাইব্রেরিতে বই সংযুক্ত করতে হবে এবং অফিস ফ্যাসিলিটি বাড়াতে হবে।
১৫ দিনের মধ্যে দাবি কার্যকর না হলে ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি ক্লাস পরীক্ষা ও বর্জন করা হবে।
বিভাগের চেয়ারম্যান চয়ন শিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। শিক্ষার্থীরা তাকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে বিভাগে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, একটি শ্রেণিকক্ষ দিয়ে তিনটি ব্যাচের পাঠদান খুবই কষ্টকর। এছাড়া মাত্র চারজন শিক্ষক দিয়ে বর্তমানে তিনটি ব্যাচের ক্লাস ঠিকমতো নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করার জন্য সমাজকর্ম বিভাগসহ আরো কয়েকটি বিভাগের জন্য ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন ভবনে (একাডেমিক ভবন-৩) কয়েকটি কক্ষ অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়েছে। দ্রুত ওই কক্ষগুলো শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়