পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

মান্দায় সড়ক সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ) থেকে : দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট থেকে পাজরভাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক। কার্পেটিং উঠে গিয়ে একপ্রকার হালচাষের জমিতে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি। হাজারো খানাখন্দে ভরপুর এটি। চলতে পারে না গাড়ি। ভোগান্তিতে নাজেহাল এলাকার মানুষ ও পথচারীরা। যার কারণে হাজার হাজার পথচারী বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ফেরিঘাট থেকে শুরু করে পাঁজরভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত এই সড়কটি বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। পুরো রাস্তাটি ভেঙে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। আবার কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে সরু হয়ে গেছে। যার ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। পাঁজরভাঙ্গা বাজারের এই রাস্তাটি ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেও বেশির ভাগ অংশ সংস্কার হয়নি। যার কারণে একাংশ ভালো হলেও বাকি অংশ সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি লাঘব হচ্ছে না। বিশেষ করে বুড়িদহ খেয়াঘাট থেকে প্রসাদপুর খেয়াঘাট (শুঁটকির মোড়) পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা যেন হালচাষের জমি। খানাখন্দে ভরপুর থাকায় চলাচলের কোনো উপায় নেই। ধুলাতে লাল হয়ে গেছে রাস্তার দুপাশের গাছপালা ও বাড়িঘর।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি মান্দা ফেরিঘাট থেকে সরাসরি পাঁজরভাঙ্গা হয়ে জেলার আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পথচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় আমরা চরম বিপাকে। গর্ভবতী নারীদের নিয়ে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে যাওয়া যায় না। কোনো রকমে হাসপাতালে পৌঁছালেও রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সচরাচর কোনো ভ্যান, অটো এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। গেলেও তার জন্য গুনতে হয় তিন গুণ ভাড়া।
এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরে করে মাটি পরিবহনের জন্য সরকারি রাস্তা কেটে তৈরি করেছেন সংযোগ সড়ক, যা দেখার কেউ নেই। উপজেলার সঙ্গে পূর্ব অঞ্চলের যোগাযোগের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এমন বেহাল দশা বছরের পর বছর চললেও সংস্কার হয়নি। ফেরিঘাট থেকে পাঁজরভাঙ্গা বাজারে যাওয়ার এই রাস্তাটি অতি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। তিনি বলেন, ভাঙা অংশ তখন সংস্কার করা হবে, যখন অন্য অংশ ভাঙতে শুরু করবে। ফলে এই রাস্তার ভোগান্তি আর শেষ হবে না। তুলসীরামপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ বলেন, রাস্তাটির এমন অবস্থা হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি বাড়ছে। সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না তারা। এছাড়া ধুলাতে শরীর মেখে যায়।
মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, পাঁজরভাঙ্গা থেকে পলাশবাড়ি অংশের রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। আগামীতে ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়