পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

ভেড়ামারায় গরু চুরি ঠেকাতে গোয়ালঘরে রাত যাপন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় গরু চুরি বেড়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল প্রতিরাতে কোনো না কোনো এলাকায় গরু চুরি করছে। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষক ও খামারিরা। চুরির হাত থেকে বাঁচতে কিছু এলাকায় পালাক্রমে রাত জেগে গরু পাহারা দেয়া হচ্ছে। আবার কিছু এলাকায় পাহারা দিতে গিয়ে গরুর সঙ্গে গোয়ালঘরে ঘুমাচ্ছে কৃষকরা।
গত ১৫ দিনে এ উপজেলায় ১০ থেকে ১২টি গরু চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় চোরের উপদ্রব বেশি। প্রায় প্রতি রাতে গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এসব এলাকায় ভ্যান, সাইকেল, পানি তোলার পাম্পসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে।
সম্প্রতি চাঁদগ্রামের হবিল সরদারের দুটি গরু, বিপ্লবের দুটি, হরিপুরের মহিউদ্দিনের একটি, জুনিয়াদহ গ্রামের ফিরোজের একটি, মোকারিমপুর ইউপির গোলাপনগর গোরস্থানপাড়ার কাসেম উদ্দিনের একটি এবং পৌরসভার ফারাকপুরের মজিবর মৃধার দুটি গরু চুরি হয়েছে। এছাড়া গরু চুরির সময় ধাওয়া খেয়ে ফেলে যাওয়া প্রায় পাঁচটি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হন কৃষকরা। রাত জেগে পালাক্রমে এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের কৃষক আনতাজ আলী, মাজদার হোসেন, স্বপন ও সোহেল। তারা বলেন, ‘দফেলা নামে একজনের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসে চোর। পরে ধাওয়া দিয়ে গরু উদ্ধার করা হয়। রাজিব ও মজিবের ভ্যান, সাইকেল ও রুবেলের পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে। আমরা প্রতিদিন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।’ চাঁদগ্রামের কৃষক বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার রাতে আমার বাড়ি থেকে গাভি ও বাছুর চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। এর কয়েক দিন আগে আমার চাচার গোয়াল থেকে গাভি ও বাছুর চুরির ঘটনা ঘটে। আমি গাভি পালন করে দুধ বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালাতাম। চুরি যাওয়া দুই গরুর দাম প্রায় দুই লাখ টাকা।’ ভুক্তভোগীরা জানান, গত এক মাসে হঠাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গরু হারিয়ে হতদরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তবে অনেক সময় প্রতিকার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন না ক্ষতিগ্রস্তরা।
ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়