পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

নাইক্ষ্যংছড়ি : পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মূল হোতা আটক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গরু ও মাদক চোরাচালানের মূলহোতা, অর্ধডজন মামলার আসামি জহির উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার বিকালে বিজিবি ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মৌলভীরকাটা শাইড়িপাড়ার মাস্টারঘোনা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গতকাল রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা। তিনি জানান, আটক জহির পুলিশের উপর হামলার মূল হোতা। এছাড়া জহিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলারও অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, জহির উদ্দীন কম্বোনিয়া ও আশারতলী এলাকার জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি, জামছড়ি, জারুলিয়াছড়ি, কম্বোনিয়া সীমান্ত ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বার্মিজ গরুর চোরাচালান নিয়ে আসে। গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চোরাইগরুর একটি চালান আটক করতে গেলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অপারেশন টিমের উপর জনপ্রিতিনিধিদের ইন্ধনে এবং জহির উদ্দীনের নেতৃত্বে নূর মুহাম্মদ, আবুল মনসুরসহ কিছু উশৃঙ্খল নারী-পুরুষ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ।
সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধ ও চোরাকারবারীদের খুঁজতে পুলিশ-বিজিবি অপারেশন জোরদার করা হয়েছে।
গত শনিবার নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিমের নির্দেশনায় ফুলতলী বিওপি ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার যৌথ অপারেশন দলের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জহির উদ্দিনকে পাহাড়ি এলাকা থেকে আটক করে। এরআগে শনিবার সকালে বান্দরবান জেলা শহর থেকে নুর মোহাম্মদ ও আবুল মনসুরকে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। 
স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বার্মিজ গরু ও মাদক পাচারে পর্দার আড়ালে থেকে অবৈধ কারবার করে আসছে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। 
উল্লেখ্য, বান্দরবান সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত থাকায় মিয়ানমার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের বেশ কয়েকটি অরক্ষিত পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন শত শত গরু-মহিষ ও মাদকের চালান আসছিল। এতে পাচারচক্র গত এক বছরে অটেল টাকার মালিক হয়েছে। এই চক্র এতোটাই শক্তিশালী যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে পিছপা হয় না। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়