পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

অর্থাভাবে আইসিইউতে রাখা হলো না ২ শিশু : একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : একসঙ্গে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিংকি আক্তার নামে এক গৃহবধূ। তবে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় জন্মের পর থেকেই ৪ সন্তানকে আইসিইউতে চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। কিন্তু আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার টাকা জোগাতে হিমশিম খান দরিদ্র কৃষক বাবা আনোয়ার শিকদার। টাকার অভাবে আইসিইউ থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। তবে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর এক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূ পিংকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. ইনসান শরীফের মেয়ে। প্রায় ৭ বছর আগে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের বেপারীকান্দি ক্লাব বাজার গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে কৃষক আনোয়ার শিকদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জানা গেছে, বিয়ের প্রায় ২ বছর পর ওই দম্পতির ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর পিংকি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে গত ৭ জানুয়ারি সকালে প্রসব ব্যথা উঠে। প্রথমে তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে নেয়া হয়। ওইদিন দুপুরেই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকার মগবাজার আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত আনুমানিক ৮টার দিক সিজারের মাধ্যমে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্ম দেন পিংকি। তবে জন্ম হওয়ার পরপরই শিশুগুলোর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রাত ১টার দিকে শিশুগুলোকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তবে প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা খরচসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার জোগান দিতে হিমশিম খান দরিদ্র কৃষক আনোয়ার। শেষ পর্যন্ত টাকার অভাবে ১২ জানুয়ারি ২ মেয়ে সন্তানকে আইসিইউ থেকে বের করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া ২ সন্তানের মধ্যে গত রবিবার ভোরে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি এক সন্তান এখনো গ্রামের বাড়িতে রয়েছে।
অপরদিকে হাসপাতালে থাকা বাকি ২ সন্তান ও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আনোয়ারকে প্রতিদিন গুনতে হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। আর চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে এক সন্তান আইসিইউতে এবং এক সন্তান তার মায়ের কাছে বেডে রয়েছে।

আনোয়ার শিকদার বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এক সঙ্গে ৩ মেয়ে ও এক ছেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু জন্মের পরই ওদের আইসিইউতে রাখা হয়। এরই মধ্যে এক সন্তান মারা গেছে। হাসপাতালের খরচ জোগাতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকেই ঋণ নিয়েছি। এখন হাসপাতালের খরচ চালাতে পারছি না। আমার বাকি ৩ সন্তানকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা চাই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়