মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

পর্দা উঠল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের : শহরে সব্যসাচী চক্রবর্তীসহ একাধিক পরিচালক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শুরু হলো ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। গতকাল শনিবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ৯ দিনব্যাপী বর্ণিল এ উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। এছাড়া মার্কিন পরিচালক জন জোস্ট এবং ইরান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের একাধিক পরিচালক।
সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে বসার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। মঞ্চে যেসব বিশিষ্ট মানুষ আছেন, তাদের পাশে বসার যোগ্যতা আমার নেই, তা সত্ত্বেও আমাকে সুযোগ দেয়ায় কৃতজ্ঞ, ধন্য, গৌরবান্বিত। এর আগেও এই উৎসবে আসার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে আসা হয়নি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, আমার জন্য আরো আনন্দের ব্যাপার হলো, যে ছবি (জেকে ১৯৭১) দিয়ে উৎসবটি শুরু হচ্ছে, আমিও সেটার ক্ষুদ্র একটি অংশ। আমি এখানে একজন পাকিস্তানির ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে বিমানটি ছিনতাই হয়, আমি সেটার ক্যাপ্টেন।
সব্যসাচী বক্তব্যের বেশির ভাগ বাংলাতেই বললেন। তার ভাষ্য, এটা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সুতরাং পুরোটা যদি বাংলায় বলি, তাহলে ভালো দেখাবে না। তবে বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, বাংলা বলতে গর্ববোধ করি বলেই বাংলাতে কথাগুলো বলেছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ফাখরুল আরিফিন খান পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জেকে ১৯৭১’ প্রদর্শিত হয়। এরপর একই ভেন্যুতে

দেখানো হয় মার্টিন ডুপ্লাকুইট পরিচালিত চিলির সিনেমা ‘ক্যাজাডোরা’। মিলনায়তন হল সবার জন্য উন্মুক্ত। সিট থাকা সাপেক্ষে যে কেউ উপভোগ করতে পারবেন এ উৎসবে প্রদর্শিত সিনেমাগুলো।
উৎসব চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল, উইমেন্স ফিল্মমেকার, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র বিভাগে ৭১টি দেশের ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।
প্রতিদিন ৫টি ভেন্যুতে দেখানো হবে ১২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১২৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ৮১টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। ভেন্যুগুলো হলো- জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে এসব সিনেমা প্রদর্শিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়