রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

বেগমগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন : স্কুলছাত্রী ফাহিমা হত্যার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় প্রায় দুই হাজার এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা ফাহিমা আক্তার হত্যার সঙ্গে জড়িত হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি মাইজদীর অনন্তপুরে শ্বশুরদের ভাড়া বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় ফাহিমা আক্তারের। ফাহিমা আক্তার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলমপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির বেল্লালের মেয়ে।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি এখলাশপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কামদেবপুর গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম রাসেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফাহিমা আক্তারের। ফাহিমা আক্তারের পিতা বেল্লালের দাবি বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করত। তার মেয়ের জামাই রাসেল ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। ব্যবসা স¤প্রসারণের জন্য বাবার বাড়ি থেকে আরো এক লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ফাহিমাকে। অসহায় পিতার অভাবের সংসারের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে বেল্লাল অভিযোগ করেন।
বেল্লাল আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পরও আমাকে জানানো হয়নি। মেয়ের জামাই, দেবর, শ্বশুর মিলে আমার মেয়েকে মেরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে মারা গেছে এখন সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ময়নাতদন্তের পর আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গোসলের সময় আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন ছিল, ডানহাত ভাঙা ছিল, আঙুল ভাঙা ছিল, গলা ও পিঠে দাগ ছিল। তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়