চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারী-নয়াবস এলাকায় সেতু নির্মাণের ৩ মাসের মাথায় বন্যার তোড়ে ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটিও। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন সেতু নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার হয়নি। এতে নয়াডারা, মজারটারী, চরোয়ার পাড় ও নয়াবাশ এলাকার হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। এর ৩ মাসের মাথায় বন্যার পানির তোড়ে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুটিও ধসে গিয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তখন থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবস এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে সেতুটি তৈরির ফলে অল্প দিনেই এ অবস্থা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এখন চলাচল করতে হয়। একই এলাকার জয়নাল হক বলেন, সেতু তৈরির কয়েক মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কসহ সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়েছে।
স্থানীয় ফয়জার আলী ও জামেলা বেগম বলেন, শুকনা মৌসুমে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। তারা আরো জানান, সড়কটিও দীর্ঘ ৩০ বছরে সংস্কার হয়নি। ভাঙা সড়কে চলতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সিরাজুদৌলা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটির বিষয়ে ত্রাণ শাখায় কথা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।