গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : অবৈধভাবে বেশি সার না দেয়ায় একটি প্রভাশালী চক্র দুই সার ডিলারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে গাবতলী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএডিসি সার ডিলার আব্দুর রশিদ ও পরিমল চন্দ্র এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই ডিলার দীর্ঘদিন ধরে বরাদ্দকৃত সার ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় মোজাহার আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে রুহিন ও হিটলু, সহযোগী সিরাজুল ইসলামসহ কিছু ব্যক্তি আমাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে সরকারি মূল্যে পটাশ সার কিনে অন্যত্র বেশি দামে বিক্রি শুরু করেছেন। এর আগে মোজাহার আলী ও তার ছেলে হিটলু ডিলার আ. রশিদের কাছ থেকে সার ক্রয় করে প্রায় ৮ হাজার টাকা বকেয়া রেখেছেন। ওই টাকা ফেরত চাইলে আমাদের ক্ষতি করবেন বলে মোজাহার হুমকি দেন। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসারকে জানালে তিনি শুধু প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করার নির্দেশ দেন। এরপর ডিলাররা বেশি সার দেয়া বন্ধ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে চারজনের ওই দুষ্টচক্র। তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দেয়াসহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন। প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। গত ৫ জানুয়ারি মোজাহার আলী ও তার লোকজন সারের দোকানে এসে ডিলার আ. রশিদকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় পরেরদিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এতে ওই দুষ্টচক্র আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সুখানপুকুর বাজারে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সুখানপুকুরে সারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। তবে সুখানপুকুরে কে কে ডিলারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশি করে পটাশ সার নিচ্ছেন সেই ডকুমেন্ট আমাদের কাছে সংরক্ষণে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুই ডিলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুখানপুকুর এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম, আইয়ুব আলী সরকার, মোস্তাফিজার সরকার, জিয়াউর রহমান, আ. হান্নান, আমিনুল ইসলাম, আ. হক, রিপন মিয়া, আমজাদ হোসেন, আবুল কাশেম প্রামানিক, তোফাজ্জল প্রাং, লুৎফর মণ্ডলসহ আরো অনেকে।