রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

ছাতকে মুসাফিরখানা ভেঙে মার্কেট তৈরির চেষ্টা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকের প্রাচীনতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদীয়া মুসাফিরখানা ভেঙ্গে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের চেষ্টআর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বাদী হয়ে শহরের বাগবাড়ী এলাকার আলতাব মিয়ার পুত্র ইকবাল হোসেন, একরাম হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে পৃথক মামলা করেন। এ বিষয়ে গত বুধবার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ৭৫ বছর আগে শহরের প্রধান সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় মোহাম্মদীয়া মুসাফিরখানা ও পাঞ্জেগানা মসজিদ। শহরে আগত মুসাফিরদের থাকা ও ধর্মীয় উপাসনা করার লক্ষ্যে বাগবাড়ী এলাকার মৃত হাজী উসমান মিয়ার স্ত্রী মৃত ছুরতুন্নেছা বিবি তার নিজ বাড়ির সামনে আড়াই শতক ভুমি মুসাফিরখানা ও পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরীর পিতা দেওয়ান হাজী আলম রাজা চৌধুরীর নিজ অর্থায়নে মুসাফিরখানা নির্মাণ করে দেয়ার এক প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছুরতুন্নেছা বিবি ১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাগবাড়ী মৌজার, জেএল নং-২১৬, খতিয়ান নং-৫৮ এবং ৮৬৯/৮৮০ দাগের আড়াই শতক ভুমি ৪১৭২ নং দলিলে ওয়াকফনামা রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে মুসাফিরখানা পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি তার উত্তরাধিকারী কারো কোনোরকম স্বত্ব বা দাবী থাকবে না বলেও দলিলে উল্লেখ করেন। স¤প্রতি একটি চক্র জাল কাগজপত্র তৈরি করে স্বত্বাধিকারী সেজে ওই ভুমিতে বহুতল বিশিষ্ট বানিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে মুসাফিরখানা ভবনটি ভেঙ্গে ক্ষত-বিক্ষত করে। গভীর রাতে মুসাফিরখানা ভাঙ্গার বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। পরে সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন তিনি। উভয় মামলায় এ ভুমিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন ভাঙ্গা অব্যাহত রাখলে ঘটনাস্থল থেকে ইকবাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান তিনি। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, মুসাফিরখানা দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষরা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে পৌরসভা থেকে ৩ নামে পৃথক হোল্ডিং ও বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মিটার গ্রহন করে। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ এসব হোল্ডিং সমুহের এসেসমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। একইভাবে বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন না করতে পারায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ দিলে তারা সময় চেয়ে আবেদন করেন। এদিকে চলমান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও মিটার বাতিল করার জন্য একটি আবেন করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়