আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

পৌষের রোদমাখা দিনে পৌষ উৎসব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে নতুন জামাই বা অতিথি এলে হাজির করা হয় ‘তক্তি’ পিঠা। পিঠার সঙ্গে জামাই আদরের সম্পর্কটা বেশ ঐতিহ্যবাহী। একটু বড় আকারের চাপ্টির নাম নাকি ‘ঝালজামাই’। নামের কারণেই হোক বা স্বাদের কারণেই হোক, মানুষের আগ্রহও কম নয় ঝালজামাইয়ের প্রতি। ঝালজামাইয়ের পাশাপাশি চিতই, মালপোয়া, ভাপা, পুলিসহ এমনই নানান স্বাদের পিঠা ও কারুপণ্য নিয়ে রাজধানীর ওয়াইজঘাটসংলগ্ন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি মাঠে শুরু হয়েছে পৌষ মেলা-১৪২৯।
বেলা খানিকটা বাড়ায় প্রকৃতিতে সূর্যের দেখা মিললেও গাছের ছায়ায় সূর্যের আলো ছিল অনেকটাই ম্রিয়মাণ। পৌষের রোদমাখা এমনই প্রকৃতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আবহমান বাংলার হাজার বছরের লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আবহে শুরু হয়েছে তিন দিনের এই মেলা।
পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত পৌষ মেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে এম খালিদ বলেন, পৌষ মেলা ধনী, গরিব, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে বাঙালির একটি অসা¤প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব। এর মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে স¤প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়ানোর মাধ্যমে সেতুবন্ধন রচিত হয়। পৌষ মেলার উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে হলেও শত শত বছর ধরে আমাদের গ্রামবাংলায় এ উৎসব হয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, আমি ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি থেকে বাঁচতে মায়ের পিঠা তৈরিতে বহুবার সাহায্য করেছি। তাছাড়া আমি ঢেঁকি ভানতেও জানি। যদিও এখন আগের সেই ঢেঁকি নাই। মেশিনে ধানমাড়াই, চাল ও চালের গুঁড়া তৈরি হয়। তিনি বলেন, আমাদের নাগরিক যান্ত্রিক জীবনে শীতের রুক্ষ-শুষ্ক-মলিনতার মধ্যে পৌষ মেলা যেন এক শুদ্ধ উষ্ণ আবেশ।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রথমদিন উৎসব মঞ্চে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, মহীরুহ ও বাফা।
দলীয় আবৃত্তি করে কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র আর দলীয় নৃত্য বাফা, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি। বাউল গান পরিবেশন করেন সমীর বাউল ও শাহনাজ বাউল। একক গান পরিবেশন করেন ড. তাপসী ঘোষ, সমর বড়–য়া, মোহনা দাস, শান্তা সরকার, খোন্দকার খায়রুজ্জামান কাইউম প্রমুখ। একক আবৃত্তি করেন আজহারুল হক আজাদ ও অনন্যা লাবণী পুতুল প্রমুখ। দিনের সবশেষ বিশেষ আয়োজন হিসেবে ছিল মানিকগঞ্জের দলে মহুয়া পালা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়