আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

নামসর্বস্ব কলেজ ও ভর্তিবাণিজ্য বন্ধ হোক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভর্তিতে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় শহরের অলি-গলিতে গড়ে ওঠা নামসর্বস্ব কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এসব কলেজ কীভাবে অনুমোদন পায়- এ বিষয়ে নতুন করে আলোচনা জোরালো হয়েছে। মানহীন নামসর্বস্ব কলেজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবি। জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে ৮ জানুয়ারি। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। সেই হিসাবে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭০৩টি আসন খালি থাকবে। গতকাল ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও সমমান আলিম শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের সরকার অনুমোদিত দশটি কলেজ ও মাদ্রাসা কোনো শিক্ষার্থী পায়নি। আর চারটি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি। আরো প্রায় পাঁচশ কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এসব কলেজের এখন টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হবে বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন। পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য এক রকম নির্ঘুম রাত কাটে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের- এখন দেখছি উল্টো চিত্রও। ভালো কলেজগুলোয় প্রতিযোগিতা যেমন বাড়বে, তেমনি অপেক্ষাকৃত মানহীন কলেজে অনেক আসন ফাঁকাই থাকবে। ভর্তি সংকটের মূল কারণ একটাই। আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের দেশের গুটিকয় নামকরা কলেজে ভর্তি করাতে চাই। আমাদের সবার আকাক্সক্ষা যখন ওই কলেজগুলোর সীমিত আসনসংখ্যার সঙ্গে মেলে না, তখনই এই সংকটটা তৈরি হয়। প্রতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে চলে অবাধ বাণিজ্য। স্কুল-কলেজে ভর্তির মৌসুমে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফির বাইরে ‘গলাকাটা’ অর্থ অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করে বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন উন্নয়নের নাম করে অভিভাবকদের কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫-৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। অভিভাবকরাও সন্তানকে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে বেশি টাকা দিতে বাধ্য হন। এবার অবশ্য ভর্তির নিয়মাবলি, কোটা, অন্য শর্তাবলি চূড়ান্ত করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে গলাকাটা ফি আদায় বন্ধ করতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এতে ঢাকা শহরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৫ হাজার, অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার, জেলা সদর ও পৌর এলাকায় ২ হাজার, উপজেলা পর্যায়ের কলেজে ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন কঠোর নির্দেশনার পরও ভর্তিবাণিজ্য বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। দুঃখজনক ভর্তি, পুনঃভর্তি, টিউশন ফি ও টিসির ফি আদায়ের কোনো নিয়মনীতি মেনে চলার নজির পাওয়া যাচ্ছে না, যে যার মতো করে অর্থ আদায় করে পকেট ভর্তি করছে। সময় এসেছে অসাধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়