আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেই মেসির গোল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সব ভক্তদের অপেক্ষা ছিল লিওনেল মেসিকে আবার কখন মাঠে দেখা যাবে তা নিয়ে। সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অঁজির বিপক্ষে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের একাদশে ছিলেন মেসি। শুধু মাঠেই ফিরেননি, পূরণ করেছেন ভক্তদের প্রত্যাশাও। বিশ্বকাপ বিরতির পর নতুন বছর ও বড় দিনের ছুটি কাটিয়ে এসে মাঠে নামা হয়নি তার। তবে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পেয়েছেন এ বিশ্বকাপ জয় করা তারকা।
প্রায় তিন সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে মাঠের বাইরে থেকেও মেসি প্রতিপক্ষের কাছে আগের মতোই ভয়ঙ্কর। লিগ ওয়ানে গত পরশু পিএসজির হয়ে অঁজের বিপক্ষে মাঠে নামেন মেসি। তার এবং উগো একিতেকের গোলে ফরাসি ক্লাবটি ২-০ গোলে জয়লাভ করেছে।
বিশ্বকাপ জয় করা খেলোয়াড়রা যখন প্রথমবার মাঠে নামেন তখন বিশ্বকাপ নিয়ে মাঠে প্যারেড করা তাদের বরণ করে নেয়ার একটি রীতি। তবে মেসিকে এভাবে সংবর্ধিত করে নি পিএসজি। কারণ মেসির জয় করা বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল ফ্রান্সের বিপক্ষেই। তাই ফ্রান্সে তাদেরকে হারিয়ে জয় করা বিশ্বকাপ নিয়ে প্যারেড করা মেসির জন্য বিপজ্জনক হতে পারত মনে করেছিলেন পিএসজি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে মাঠে নামতেই তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে ফরাসি ক্লাবটির সমর্থকরা। কারণ তিনি এখন পিএসজিরই সম্পদ। এজন্য ম্যাচ শেষে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পিএসজি কোচ বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরা যেভাবে তাকে স্বাগত জানিয়েছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। বিষয়টি তার কাছে অনেক কিছু। ম্যাচ কঠিন হয়ে গেলেও আমাদের সমর্থকরা তার পাশে ছিল।’
ম্যাচ শুরু হওয়ার ৫ মিনিটেই ফরাসি ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলের দারুণ একটি ক্রস থেকে বল যায় একিতেকের কাছে। তিনিও বলটি কাজে লাগিয়ে লক্ষভেদ করে দলকে এক গোলে লিডে এনে দেন। মুকিয়েলের অবদানেই গোল পান বিশ্বজয়ী মহাতারকা লিওনেল মেসি। ৭২ মিনিটে তার পা থেকে বল জালে জড়ায়। অফসাইডের জন্য গোলটি বাতিল করা হলেও ভারের সিদ্ধান্ত অনুসারে গোলটি বৈধ হয়। এ গোলের মধ্য দিয়ে ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছরই লিগে অন্তত একটি গোল হয়ে গেল আর্জেন্টাইন তারকার। ২০২৩ সালেও এটি মেসির প্রথম গোল।
পুরো ম্যাচে খুব ভালোভাবে খেলতে পারে নি গালতিয়ের শিষ্যরা। খেলা শুরুর আগে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্মনণে বানানো টি-শার্ট পরে গা গরম করেছেন মেসি এবং নেইমার।
মাঠে নামিয়ে মেসির সফলতায় খুশি কোচও। ম্যাচ শেষে তিনি মেসির দলে থাকা না-থাকার পার্থক্যও তুলে ধরেছেন। ৩৫ বছর বয়সি এ ফরোয়ার্ডের ফিটনেস নিয়েও খুশি তিনি। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই, মেসি-সহ এবং তাকে ছাড়া দল ভিন্ন। আজ রাতে সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি গোল করেছে। আমরা সবাই জানি যে, সে গোল করতে পছন্দ করে, সে এমন একজন খেলোয়াড় যার গোলের প্রয়োজন।’ গালতিয়ে আরো যোগ করেন, ‘প্রথমার্ধের বিরতিতে তার সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম যে, সে কেমন অনুভব করছে। বলেছে, সে ভালো বোধ করছে। আমাদের মাঝে মেসিকে ফিরে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি সে ৯০ মিনিট খেলেছে, যা আরো ভালো ব্যাপার।’
১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি এবং সমান ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে লেঁস।
অন্যদিকে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমি ফাইনালেও ভালোভাবে খেলতে পারে নি রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটিতে ভ্যালেন্সিয়াকে হারাতে তাদের টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। জয় নিশ্চিতের পর তা অকপটে কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্বীকার করেছেন। সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গত বুধবার সেমি ফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ১-১ সমতা দিয়ে শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে স্পেনের সফলতম দলটি। করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র আক্রমণ করলেও তাদের কোনো শটই লক্ষ্যে ছিল না। প্রথমার্ধে করিম বেনজেমার গোলটিও আসে পেনাল্টি থেকে। প্রথম দলে লিডে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল দেয়ার বদলে তারা একটি গোল হজম করে। তবে ছন্দে না থেকেও সবশেষে জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এমন ছন্দহীন খেলার পেছনে বিশ্বকাপের ক্লান্তিকে দায়ী করতে চান তিনি। তিনি বলেছেন, ‘শারীরিক কোনো সমস্যা ছিল না, কারণ অতিরিক্ত সময়ে আমরা তাদের চেয়ে ভালো করেছি। আমরা শীর্ষ অবস্থায় নেই, তবে এটাই স্বাভাবিক। কিছু খেলোয়াড় আছে যারা বিশ্বকাপের পরই খেলা শুরু করেছে। আমরা এমন খেলোয়াড়দের খেলিয়েছি যাদের (ফেরলদ) মদি ও (দানি) কারভাহালের মতো কিছু সমস্যা ছিল।’ তবে ফাইনালে পৌঁছে খুশি তিনি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল বেতিসের মধ্যে জয়ী দল। মুকুট ধরে রাখার লড়াই কঠিন হবে বলে তিনি দলকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা ফাইনালে উঠতে চেয়েছিলাম এবং আমরা তাই করেছি। গত বছরের থেকে এটি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট, তবে আমি মনে করি আমরা সুপার কাপ জিততে কঠিন লড়াই করতে যাচ্ছি।’
লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ১৮ জানুয়ারি, কোপা দেল রে-তে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়