আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

‘কেএনএফ’ আস্তানায় প্রশিক্ষণ : দুর্গম পাহাড় থেকে আরো ৫ জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মংসানু মারমা, বান্দরবান থেকে : বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সীমান্তর্বতী দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৫ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা পাহাড়ের গহিনে সশস্ত্র দল ‘কেএনএফ’ এর আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান অভিযান নির্দিষ্ট কোনো জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় প্রশিক্ষণরত অবস্থায় (১১ জানুয়ারি) নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ জঙ্গিকে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় র‌্যাব ফোর্সেস নব্য জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণরত ৫৫ জন জঙ্গি এবং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখেছে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ জঙ্গি হলেন- নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার মুকিল্লা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরণ ওরফে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লা জেলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭), সিলেট জেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (৩০), কুমিল্লা জেলার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ ওরফে বাইরু (২১) ও কুমিল্লা জেলার মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল (১৭)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইমরান বিন রহমান শিথিল কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ তরুণের একজন এবং সাদিকুর রহমান সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪ তরুণের একজন। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নিখোঁজ ৫৫ জনের তালিকাভুক্ত ছিল বলে জানায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার সালেহ আহমেদ, সাদিকুর রহমান এবং শিথিলকে থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে এবং বাইজিদ ওরফে বাইরু, নিজামউদ্দিন হিরণকে রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই র‌্যাব কর্মকর্তা আ?রো জানান, কেএনএফ প্রধান নাথান বম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্গম এলাকায় কেএনএফকে মাসিক তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত বান্দরবানে ১২ জন জঙ্গি আর বিভিন্ন সময় ১৪ জন কেএনএফ সক্রিয় নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। তি?নি ব?লেন, কুকিচিনের সশস্ত্র সদস্য সংখ্যা দুই শতাধিক হতে পারে। এই অভিযানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং গোলাবারুদও উদ্ধার হয়নি। অভিযান কবে শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গির বিরুদ্ধে

যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ অ?ভিযান কোনো নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, সাধারণ জনগণ সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।
উল্লেখ?্য, এর আগে গেল বছ?রের ২১ অ?ক্টোবর বান্দরবান ও রাঙ্গামা?টির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অ?ভিযান চা?লি?য়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭ জন ও কেএনএফ এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়