সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি ২ আসামি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা ও দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়িতে ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক স্কুলছাত্রকে নির্যাতন করেন উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২), একই গ্রামের মৃত আরাফাত আলীর ছেলে হরুপ আলী (৪০) ও রিফাত মিয়ার ছেলে জায়েদ আলী (২২)। নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্র মারুফ মিয়ার (১৫) বাবা দোয়রাবাজারের পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের দিনমজুর সফিক মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আব্দুল্লাহ্, রিফাত ও হরুপ আলীকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের ১৫ দিন পর পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরাই রয়ে গেছে মামলার অন্য দুই আসামি রিফাত ও হরুপ আলী।
গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পায় মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ্। অন্য দুই আসামি এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে নির্যাতিত শিশুটির পরিবার।
নিহত মারুফের বাবা সফিক মিয়া গতকাল বুধবার দুপুরে ভোরের কাগজকে জানান, আমরা গরিব হওয়ায় মারুফের সুচিকিৎসা করাতে পারিনি। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে সে অর্ধপাগল অবস্থায় জীবনযাপন করছে। মারুফের বাবা আরো জানান, মাথায় আঘাত পাওয়ায় বর্তমানে তার সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
মামলার বিবরণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের পূর্বচাইরগাঁওয়ের সফিক মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম মারুফকে (১৫) বাড়ির সামনে আমগাছে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে নির্যাতন করে আসামিরা। শিশু মারুফকে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
নির্যাতনের সময় স্কুলছাত্র মারুফ ‘টাকা চুরি করিনি’ বলে চিৎকার করে কান্নাকাটি করলেও আব্দুল্লাহ, হরুপ আলী ও জায়েদ আলীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। মারপিটের একপর্যায়ে মারুফের স্বজনরা এগিয়ে গেলেও সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুটির ওপর নির্যাতন আরো বাড়াতে থাকে আসামিরা।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ফিল্মি স্টাইলে হাত-পা বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে একটু পরপর এসেই এলোপাতাড়িভাবে পায়ের তলায় মারধর করতে থাকে তারা। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে দিন দিন এলাকায় এসব অপকর্ম আরো বেড়ে যাবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) দোয়ারাবাজার থানার এসআই পান্নালাল দেব বলেন, মামলার বাদী আমাকে সহযোগিতা করছেন না। আমি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়