ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : শিশু বিনোদন কেন্দ্রে খুশি অভিভাবকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামাল হোসেন, রামু (কক্সবাজার) থেকে : রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগাক্রান্ত মা বাবার সঙ্গে আসা ছোট্ট বাচ্চাদের আনন্দময় সময় কাটতে স্থাপন করা হয় বিনোদন কেন্দ্রটি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙিনায় শিশুপার্কের আদলে এ বিনোদন কেন্দ্রটি স্থাপন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং কানাডিয়ান রেডক্রস। কক্সবাজার জেলায় এ ধরনের বিনোদন কেন্দ্র এটিই প্রথম। চলতি সপ্তাহ থেকে শিশুদের জন্য এ বিনোদন কেন্দ্রটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। হাসপাতালের বিরক্তিকর সময়টুকু শিশুরা বিনোদন কেন্দ্রে কাটাতে পেরে তারা দারুণ খুশি। অবিভাবকরাও ফেলছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক দূর দূরান্ত থেকে রোগীরা সেবা নিতে আসেন। দূরদূরান্ত থেকে আগত রোগাক্রান্ত মা বাবার সঙ্গে আসা ছোট্ট বাচ্চারা হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকলে খুবই বিরক্ত অনুভব করেন। অনেকে অতিষ্ট হয়ে কান্নাকাটিও করে থাকে। এ বিষয়টি খুব কাছ থেকে অনুধাবন করেন অত্র কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া। ভাবতে থাকেন এ শিশুদের জন্য একটা কিছু করার। মাথায় আসে শিশু বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি। দেনদরবার করতে থাকেন বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে। অবশেষে তার আহ্বানে সাড়া দেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং কানাডিয়ান রেডক্রস। মাসে দেড়েক সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হয় এ বিনোদন কেন্দ্রটি।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া প্রতিবেদককে জানান, মানুষের কল্যাণে কাজ করে শান্তি অনুভব করি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মানবসেবা হচ্ছে বড় ধর্ম। শিশু বিনোদন কেন্দ্রটিও মানব সেবার একটি অংশ মনে করি। কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন থেকে সেবা নিতে আসা মরিয়ম বেগম (৪০) জানান, হাসপাতালে এ ধরনের একটি বিনোদন কেন্দ্র করাতে আমরা অনেক খুশি। বাচ্চাদের বিরক্তিকর সময়টুকু ওখানে কাটাতে পারবে। আমাদের কোনো টেনশন থাকবে না।
উল্লেখ্য, ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া ২০২০ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে রামুতে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে এসেছে আমূল পরিবর্তন। বেড়েছে সেবার মান। শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে রয়েছে রোগীদের সন্তুষ্টি। কমেছে ডাক্তারের সংকট। করোনাকালীন তার ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়