ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

বাগেরহাটের কচুয়ায় দুই ঠিকাদারের বাড়িতে ডাকাতি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, বাগেরহাট ও কচুয়া প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়ায় দুই সহোদর ঠিকাদার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। গত সোমবার রাতে কচুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাখালী গ্রামের গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি এবং তার ছোট ভাই সুলতান আলমের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ও তার ছোট ভাই সুলতান আলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক। তারা দুই ভাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার। এছাড়া গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য।
আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার সুলতান আলম ওরফে আলম বালি বলেন, সোমবার রাত দুইটা পাঁচ মিনিটের সময় মুখোশধারী সশস্ত্র সাতজনের একটি ডাকাত দল আমার একতলা বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারা ঘরে প্রবেশ করে আমার নাম ধরে ঘুম থেকে ডেকে তুলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওড়না ও গামছা দিয়ে আমাকে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ের হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা আলমারির চাবি নিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণের গহনা ও তিনটা মোবাইল নিয়ে নেয়।
ডাকাতদল আমাকে নিয়ে বড় ভাই আজাদ বালির ঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে অস্ত্রের মুখে মাকে ডাকতে বাধ্য করে। পরে মা দরজা খুললে গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে ও মাকে নিয়ে বড় ভাই আজাদ বালির রুমের সামনে নিয়ে মা অসুস্থ বলে ডাকতে বাধ্য করে।
এ সময় দরজা খুললে সকলের হাত-পা বেঁধে অর্থ ও গহনা লুটে নেয়। ডাকাদ দল চলে যাওয়ার পরপরই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আমরা দুইভাই ঠিকাদারি করি।
শ্রমিকদের বেতন দিতে সব সময় বাড়িতে কমবেশি টাকা রাখতে হয়। ডাকাত বিষয়ে খোঁজ খবর রাখে তা না হলে তারা আমার ঘরে ঢুকে নাম ধরে ডাকবে কেন? নাম ধরে ডাকায় আমি অবাক হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার গভীর রাতে সাত আটজনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল দুই সহোদর ঠিকাদার আজাদ বালি ও আলম বালির বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে সবাইকে হাত পা বেঁধে ফেলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল তদন্ত শুরু করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়