ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

এমডিদের সঙ্গে গভর্নরের বৈঠক : রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকে রোজার পণ্যের এলসি খোলার তাগিদ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আসন্ন রোজার পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি (ঋণপত্র) খুলতে তাগাদা দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গভর্নরের রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) তিনি এ তাগাদা দেন। বৈঠকে ব্যাংকগুলোর নিয়মিত এজেন্ডার বাইরে আসন্ন রোজার পণ্য আমদানিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে রোজার পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি (ঋণপত্র) খোলার জন্য গভর্নরের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
পণ্য আমদানিতে ডলারের সহায়তা চান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আশ্বস্ত করেন গভর্নর। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক সরওয়ার হোসেন বলেন, গভর্নরের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় আসন্ন রমজানে আবশ্যক পণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমদানিতে ডলারের সহায়তা চাওয়ার এ বিষয়ে সরওয়ার হোসেন জানান, আমাদের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। হয়ত দেখা যাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছেই ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে। তাদের ডলার সহায়তা আগের মতো লাগবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে হয়েছে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সেখানে গত বছরের এপ্রিল থেকে নিয়ন্ত্রণ করায় গত ডিসেম্বরে নতুন এলসি খোলার পরিমাণ কমে ৪ বিলিয়ন ও এলসি নিষ্পত্তি দাঁড়িয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসেম্বরের আমদানি ও রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করেনি। ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এটি পূর্ব নির্ধারিত কোনো বৈঠক ছিল না। সকালে চার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন গভর্নর। চার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমন সময়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যে সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নিযুক্ত সমন্বয়কদের কার্য পরিধি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগের চেয়ে নিবিড়ভাবে প্রতিটি ঋণ ও তারল্য ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধান আরো বাড়াতে সমন্বয়কদের বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি ও ভিন্ন ব্যাংকে বদলি করতে পারার নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে- যা নিয়ে ব্যাংকগুলোতে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বদলি করার ক্ষমতা নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি চুক্তিভিত্তিক হওয়ায় তা শুধু সরকার নিয়োগ দিয়ে আসছে এতদিন। এখন মহাব্যবস্থাপক পদেও বদলি ও পদোন্নতি দেয়ার ক্ষমতা পেল অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়