‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

হাতিরঝিলের স্থাপনা উচ্ছেদ আপাতত হচ্ছে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ ও চার দফা নির্দেশনাসহ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তার ওপর জারি করা স্থিতাবস্থা বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের করা এ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ফলে আপাতত হাতিরঝিলের স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না। একই সঙ্গে রাজউকের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) আমলে নিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন আহসানুল করিম।
এর আগে, হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের লেআউট প্ল্যানের বাইরে স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা নিয়ে ২০১৮ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর গত বছরের ২৪ মে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ ৪ দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে রাজউক। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউককে লিভ টু আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, রাজধানীর হাতিরঝিলের পানি এবং এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ অমূল্য সম্পদকে কোনোরূপ ধ্বংস বা ক্ষতি করা যাবে না। প্রতিটি ফোঁটা পানি অতি মূল্যবান। পানির চেয়ে তথা সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোঁটা পানির দূষণ প্রতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক। রায়ে আদালত আরো বলেছেন, ঞযবৎব রং হড় ‘ঢ়ষধহবঃ ই’। দ্বিতীয় কোনো পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোনো গ্রহে পানির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোঁটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয়নি। অথচ ওই খরচের শত ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহারযোগ্য রাখতে সক্ষম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়