‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

প্রতি বিভাগে সমাবেশ করবে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে দেশের সব বিভাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করারও পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি আদায়ে বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান।
লিখিত বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপি নতুন পদ্ধতিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। তারা দেশে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এই অবস্থায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। দেশে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে আমাদের যথাযথ ভূমিকা রাখার সময় এসেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে বাংলার জনগণ স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেবে। এই লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত সংগঠন ‘সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’-এর পক্ষ থেকে দেশের ৮টি বিভাগ ও ২টি প্রস্তাবিত বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে ঢাকার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৫ জানুয়ারি রংপুরে, ২৬ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২৯ জানুয়ারি বরিশালে, ৩০ জানুয়ারি ফরিদপুরে, ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায়, ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে এবং ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় সমাবেশ হবে।
আর ঢাকার মহাসমাবেশ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এসব সমাবেশ ও মহাসমাবেশের ৪টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে শাজাহান খান বলেন, রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনরায় চিরদিনের মতো পরাজিত করে নির্মূল করা; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারকে সহায়তা করা; সব সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, নাশকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেশ ও রাষ্ট্রকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল জরা জীর্ণতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের হাত শক্তিশালী করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়