‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

নূরুল ইসলাম সুজন : পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলবে জুনে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ দ্রুত শেষ করা ও ওইসব এলাকায় উন্নয়নের লক্ষ্যে পদ্মা ব্রিজে রেল সংযোগ ও দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এর ফলে তিনটি নতুন জেলা- মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেল চলাচল করবে। এছাড়া আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথও আগামী জুনে চালু করা সম্ভব হবে। এসব রেলপথ চালু হলে জিডিপি ১ শতাংশ বাড়বে।
রেলমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, রামু হয়ে ঘুমদুম পর্যন্ত রেল চলতি বছরের জুনে চলাচল করবে, সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া খুলানা থেকে মোংলা পোর্ট, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে সরাসরি ঢাকা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথে সংযুক্ত হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জাপার : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের উন্নয়নে দরকার একটি রাজনৈতিক সমঝোতা, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে এটি বিষদভাবে আহ্বান জানিয়েছেন। তাছাড়া একটি অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সংস্কারও প্রয়োজন। তা না হলে আমাদের অর্থনীতি হোঁচট খাবে। এ সময় তিনি সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য বিরোধী দলের কিছু কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান, তা না হলে দেশের উন্নয়ন বিঘিœত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান হারে রিজার্ভ কমছে, যা উদ্বেগজনক, তাই আইএমএফের ঋণ বিশেষ প্রয়োজন। তিনি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার দাবি জানান।
শামীম হায়দার বলেন, বর্তমানে দেশ বেশ কয়েকটি সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড়টা হচ্ছে সুশাসনের অভাব। এছাড়া রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবও ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে গতানুগতিভাবে পরিচালিত করলে হবে না, সংশোধিত এপ্রোচে চালাতে হবে। তিনি আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সমালোচনা করে তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
সরকারদলীয় এমপি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এখানে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের কথা এসেছে। নুর আমি মনে করি একটা সন্ত্রাসের নাম। সে যেসব পদক্ষেপ নেয় তা সরকারবিরোধী এবং ধ্বংসাত্মক।
বেনজীর আহমেদ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ করে। আমরা অবাক হয়ে যাই। এখানে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর সুযোগ আমরা কাউকে দেব না। বিএনপি এখন তলানীতে চলে গেছে। তাই তারা মরার আগে বিএনপিকে তাজা করতে চায়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা তো কারো কাছে পরাজয় মানতে পারি না।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় আরো অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, বেগম মেরিনা জাহান, মো. মহিবুর রহমান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শামীম উদ্দীন আহমেদ শিমুল, খালেদা খানম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়