‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ দাবি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন কর্মসূচি আরো ৩ দিন বাড়ল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণের দাবি আদায় না হওয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি আরো ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ডাকা ৩ দিনের আদালত বর্জন কর্মসূচির শেষ দিনে গতকাল সোমবার বিকালে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সাধারণ সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। নতুন ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় আজ মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার কোনো আদালতের এজলাসে যাবেন না আইনজীবীরা। গতকাল সকাল থেকেই কোনো আদালতে যাননি তারা। আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করেন। এর ফলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এদিকে টানা আদালত বর্জন কর্মসূচির কারণে বিচারপ্রার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে এলেও তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা জানান, স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। মামলার শুনানি, হাজিরাসহ কোনো কার্যক্রমই হচ্ছে না। কেবল নতুন তারিখ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে কর্মসূচির সময় বাড়ানোর ফলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া গতকাল বলেন, তৃতীয় দিনের মতো আমাদের কোর্ট বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের কর্মসূচি চলাকালে আমাদের দাবি আদায় না হওয়ায় কর্মসূচি আরো ৩ দিন বাড়িয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিচারকরা এজলাসে নিয়মিত এলেও আইনজীবীরা আদালতে না আসায় আদালতের কার্যক্রম বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী ও শিশু-১ আদালাতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ ছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবি জানান। আইনজীবীদের অভিযোগ জেলা জজ ওই নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজের ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে। সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য সব কোর্ট বর্জন কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে নারী ও শিশু-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আদালত চলাকালে কতিপয় আইনজীবীর অশোভন আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির থাকার আদেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়