‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

গোয়ালন্দ হাসপাতাল : চিকিৎসককে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ও ফোন ছিনতাই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসককে অস্ত্র ঠেকিয়ে কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মো. আব্দুল গনির (অব. পুলিশ) ছেলে মো. রনি ও পরে ৩নং ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি মহল্লার মো. সামছুর ছেলে মো. এমরান হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়েন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা।
জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত অবস্থায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জরুরি বিভাগের পাসের একটি কক্ষে বসে ছিলেন। এ সময় দুজন দুর্বৃত্ত ওই কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিতে পিস্তল ও ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তারা তার কক্ষ বাইরে থেকে আটকে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি চিৎকার করলে হাসপাতালের অন্য স্টাফরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে উপস্থিত হয় থানা পুলিশের একটি টহল দল। এ সময় পুলিশ তাকে সঙ্গে করে ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে ছিনতাই হওয়া ফোনে রিং দিলে খোয়া যাওয়া ফোনটি বেজে ওঠে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি রবিবার দুপুর ২টা থেকে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলাম। রাত সাড়ে ১১টার পর দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে হঠাৎ করে আমার মাথায় পিস্তল ও পেটে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং হাতে ও মাথায় আঘাত করে আমার মানিব্যাগে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা, ব্যবহত একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমি এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’
এ বিষযয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মোহাম্মদ শরিফ জানান, সিসি টিভির ফুটেজ বিচ্ছিন্ন এবং স¤প্রতি পর পর কয়েকটি ঘটনায় মনে হচ্ছে এ সব ঘটনায় হাসপাতালের কেউ যুক্ত থাকতে পারে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায় এবং জড়িতদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়