প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ‘প্লাস্টিক দানব’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে আছে এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ প্লাস্টিক দানব। এই দানব প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির বিরূপতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় সৈকতের সিগাল পয়েন্টে প্রদর্শিত হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এ দানব ভাস্কর্যের।
সরজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টের বালিয়াড়ীতে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ংকর এক দানব। যে দানবটি রক্ত-মাংসহীন প্রতীকী হলেও যার হিং¯্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে মানবদেহ, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য। সৈকতে ঘুরতে আসা যে কেউ এটি প্রথম দর্শনে ভয় পেলেও কাছে যেতেই তা কেটে যাবে। আর জানবে দানবটির দেহাবয়বে বয়ে বেড়ানো প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতির মাত্রা।
আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সমাগম ঘটে লাখো পর্যটকের। যারা সৈকতের বালিয়াড়ী ও সাগরের পানিতে ফেলছে প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর বর্জ্য। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন। আর প্রাণ-প্রকৃতির দূষণ রোধে এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি দানব ভাস্কর্য প্রদর্শনীর মতো ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক আকরাম হোসেন জানান, গত প্রায় দুই মাস ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে অন্তত ১ হাজার বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্যরে কিছু পরিমাণ অংশ দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নির্মাণ করেছেন এ ‘প্লাস্টিক দানব’।
গত ১৩ ডিসেম্বর টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চালু হয়েছে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর। যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া খালি পাত্র, বোতল ও পলেথিনের প্যাকেটের বিনিময়ে যে কেউ নিতে পারবেন চাল, ডাল, তেল, চিনি ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় যে কোনো মহৎ উদ্যোগে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে প্লাস্টিক বর্জ্যরে দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়