প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

মিশনপ্রধানদের পররাষ্ট্র সচিবের চিঠি : একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার ঠেকাতে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশেষত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কোনো দেশ একতরফাভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদেশ মিশনগুলোতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের পাঠানো ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ২০২৩ সালে করণীয়-সংক্রান্ত’ এক নির্দেশনায় নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি সামাল দেয়াসহ ৭টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি একটি মহল বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারে লিপ্ত। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব) ও বাহিনীটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর ২০২১ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনকে সামনে সামনে রেখে ফের একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছে সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছে সরকার।
গত ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে চিঠি পাঠানোর একদিন পর নতুন বছরের প্রথমদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। একই দিনে তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
ভার্চুয়াল বৈঠক সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত জানান, পররাষ্ট্র সচিবের নির্দেশনার চিঠি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক একসূত্রে গাথা। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি উদ্যোগ নিতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ২০২৩ সালে করণীয়-সংক্রান্ত ষষ্ঠ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে কোনো কূটনীতিক মিশনের মৌলিক কাজ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন কাজ এগিয়ে নেয়া। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরো বাড়তি কাজের চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ‘আমাদের একটি বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এজন্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপনাদের হালনাগাদ তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ ও দেশের বাইরে কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিকরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য অস্বস্তি তৈরি করেছে। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে ওয়াশিংটনের গভীর উদ্বেগ সরকারের জন্য নতুন এক অস্বস্তি সামনে এনেছে। এই প্রেক্ষাপটে ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় সভা হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই সভায় অংশ নেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারের সব পক্ষ যাতে অভিন্ন সুরে কথা বলে, সে বিষয়টি আলোচিত হয়। রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো পররাষ্ট্র সচিবের চিঠি তারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়