প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই শক্তিশালী বিরোধীদল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্কটা এমন- দেশে শেখ হাসিনা একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেছেন, কিন্তু রাজনীতিতে আমরা কোনো সেতু নির্মাণ করতে পারিনি। এটি বাস্তবতা। রাজনৈতিক কর্মসম্পর্কটা আমাদের মধ্যে থাকা উচিত ছিল, তা না হলে গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার। গতকাল রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য- আমরা নষ্ট রাজনীতির কাছে অনেকেই বার বার আত্মসমপর্ণ করি। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিবিদ জন্ম দেয় নষ্ট রাজনীতি, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। এজন্য তো আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল যে বাংলাদেশ, আজকে সেই বাংলাদেশ কি আমরা রাখতে পেরেছি?
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে ভালো মানুষ নেই, আমরা রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে পারিনি। ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে। খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটির খারাপ হয়ে যাবে। ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন বাঁচাতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খেলা হবে একটি পলিটিক্যাল হিউমার। উইকিপিডিয়াতেও এটা অন্তর্ভুক্ত আছে। অনেকে বাঁকাভাবে দেখে। আমি যেখানেই যাই, ছোট ছোট বাচ্চারা যারা ফুল বিক্রি করে, তারা গাড়ি দেখলেই বলে খেলা হবে। খারাপভাবে নিলে খারাপ। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি শুরু করেছিলেন, একই স্লোগান নরেন্দ্র মোদি কাউন্টার করেছিলেন। সেখানে কেউ এ নিয়ে কটাক্ষ করেনি। আমাদের দেশে হয়তো অনেকে ভুল বুঝেছেন। আমি জনগণকে আকৃষ্ট করতে স্লোগান দিচ্ছি। জনগণ গ্রহণ করেছে, সেই স্লোগান দিতে আমার অসুবিধা কোথায়! খেলা হবে। আন্দোলনেও হবে, নির্বাচনেও হবে। এসময় শরিক দলকে মান-অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়