কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

প্রাক-প্রাথমিকের ৪ হাজার শিক্ষার্থী এখনো পায়নি বই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : বই উৎসবের সাত দিন পার হয়ে গেলেও পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাক প্রাথমিকের চার হাজারেরও বেশি খুদে শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত নতুন বই পায়নি। এদিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের বই বিতরণ করা হয়নি। ফলে,বিদ্যালয়গুলোতে পুরোপুরি পাঠদান কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না বলে জানা যায় । তবে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়া হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরের প্রথম দিনে উপজেলার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব হয়। এবছর উপজেলার প্রাক-প্রাথমিকের ৪ হাজার ২৫০ জন খুদে শিক্ষার্থীর সিলেবাস অনুযায়ী একটি বই ও একটি অনুশীলন খাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু বই উৎসবের দিনে অনুশীলন খাতা পেলেও এখন পর্যন্ত নতুন বই পায়নি খুদে শিক্ষার্থীরা। বই না পেয়ে বিদ্যালয় থেকে প্রতিদিনই তারা খালি হাতে ফিরছে। এছাড়া বই সংকটের কারণে এ উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি ব্যতীত অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে সব বিষয়ের বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বই উৎসবের দিন উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের বই পেয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের বই পেয়েছে। এখানে সিলেবাসের বাকি বইগুলো এখনো আসেনি। ফলে তা বিতরণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অস্টমনিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান,বই উৎসবের দিনে তাদের বিদ্যালয়গু লোতে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অনুশীলন খাতা দেয়া হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকসহ অন্যান্য ক্লাসের অনেক বই এখনো পাওয়া না যাওয়ায় তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
দিলপাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বই পাওয়া যায়নি। তবে অনুশীলন খাতা পাওয়ায় তা বিতরণ করা হয়েছে। তার বিদ্যালয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের বই-ই পেয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের বই পেয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আমি অসুস্থ, ছুটিতে আছি।’ তবে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান আলী জানান, উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকের বই না আসায় খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া যায়নি। তবে তাদের অনুশীলন খাতা দেয়া হয়েছে। আর প্রাক-প্রাথমিকসহ অন্যান্য ক্লাসের বাকিবইগুলো পাওয়া গেলে আমরা তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়