৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

হাওরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত, বোরো আবাদে স্থবিরতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জে বোরো মৌসুমে হঠাৎ জেঁকে বসা তীব্র শীতে জবুথবু হাওরাঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষ। গত পাঁচ দিন ধরে আকাশে মেঘলাভাব এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে রোদ না থাকায় সকালেই সন্ধ্যার পূর্বাবস্থা বিরাজ করছে জেলাজুড়ে।
আকাশজুড়ে রোদের দেখা নেই, সেইসঙ্গে হিমেল হাওয়ার কনকনে শীত। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণের ফলে হাওরাঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষজন কাজে যেতে পারছেন না। এছাড়া তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে হাওরবাসীর একমাত্র সম্বল বোরো ধানের চারা রোপণ করতে গিয়েও কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
গত সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সকাল থেকে বিকালের মধ্যে রোদের দেখা মেলে মাত্র ঘণ্টাখানেক। বিকাল হতেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কনকনে শীত। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চল কাঁপছে হাড়কাঁপা শীতে। গত সোমবার সকালে জেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে শুরু করে ঠাণ্ডা বাতাস। গত কয়েকদিনে ঠাণ্ডা বাতাস কিছুটা কমলেও শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে।
জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে। শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে অনেকেই খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সেইসঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোর অলিগলিতে বসা পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন নি¤œআয়ের মানুষজন। তারা কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেটসহ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভরা বোরো মৌসুমের সময় হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, দেখার হাওর, মাটিয়াইন হাওর, শনির হাওর, পাকনার হাওর, করচার হাওর, ছায়ার হাওর, হালির হাওর, নলুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে কৃষকরা কাজে নামতে পারেননি।
তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের কৃষক রহম আলী বলেন, শীত বেরে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে বেশি টাকা দিয়েও জমিতে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বোরো চাষাবাদে সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। টাঙ্গুয়ার হাওর পারের বোরো চাষি নুর মোহাম্মদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হারকাঁপানো শীতে জীবন-জীবিকা কষ্টের হয়ে গেছে। শীতে বোরো জমিতে চারা রোপণ করতে পারছি না।
মধ্যনগর উপজেলার শালদিঘার হাওরের শ্রমিক লতিব মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে হারকাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হচ্ছে। তাই কাজে একদিন গিয়ে আর যাই না। শীত একটু কমলে আবার কাজে যাব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম ভোরের কাগজকে জানান, চলতি বছর জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। হাওরে শীতের তীব্রতায় বোরো জমিতে চারা রোপণে কৃষক ও শ্রমিকরা কষ্ট করেই চাষাবাদ করে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়