৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

সপ্তাহের বাজারদর : মাছ-মাংসের দাম চড়া সবজিতে স্বস্তি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম। তবে মাছ-মাংসের মূল্য আগের মতোই চড়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, মাছ-মাংসের বাজার দিন দিন নি¤œ-মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, শীতসহ নানা কারণে বাজারে ক্রেতা কম। ফলে ব্যবসাও কমে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, শাহাজাদপুর, খিলগাঁও ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল সকালে রাজধানীর খিলগাঁও বাজার গিয়ে দেখা যায়, পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২৫০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, কালিবোস ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩ ০০ টাকা, ছোট পাঁচ মিশালি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘা মাছ ৯০০ টাকা, বাইং (বাইন) মাছ ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের এই উচ্চমূল্যের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজি। শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামও ক্রেতাদের নাগালে। বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়, খিরা ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি পিস ৩৫ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গোল বেগুন ৭০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি কেজি প্রতি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী মহসিন বলেন, শীতের কারণে বাজারে মানুষ নেই। যারা আছে তারাও বাজারে দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জেনে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও ফুটপাতের দোকানের কারণে বাজারে ক্রেতা কম। তিনি আরো বলেন, ফুটপাতে ও ভ্যানের বিক্রেতাদের তো দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিল ও অন্যান্য খরচ লাগে না। তাদের শুধু চাঁদা দিলেই হয়ে যায়। ফলে আমাদের তুলনায় তারা একটু কম দামে বিক্রি করতে পারে। ফলে ক্রেতারা সেদিকে চলে যায়।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী আহমদ হোসেন জানান, আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে, ফলে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। যার কারণে আগের মতো মানুষ মাছ-মাংস কিনতে পারে না। এখন মাছের মধ্যে পাঙাশ ও বিদেশি কই মাছের চাহিদা একটু বেশি। এই মাছগুলোর দাম অন্যগুলোর তুলনায় কম।
শীতকালীন বাজারে মাংসের মধ্যে হাঁসের চাহিদা একটু বেশি। খিলগাঁও বাজারে ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে মুরগির তুলনায় হাঁস একটু বেশি বিক্রি হয়। অন্যদিকে সোনালি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। বয়লার মুরগি কেজি ১৬০ টাকা। গরু মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
হাঁস ও মুরগির ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, হাঁসের পিস ও কেজি হিসেবে বিক্রি হয়। হাঁসের কেজি ৪০০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আছে। এটা হাঁসের ওজন ও জাতের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে। খিলগাঁও বাজারে রবিউল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, এই দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সেটা আর কমে না। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু আমাদের আয় তো সেভাবে বাড়ে না। ফলে আয়ের সঙ্গে মিল রেখে চলতে গিয়ে মাছ-মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়