৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : শতভাগ সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : টেলিমেডিসিন সেবায় দেশসেরা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন শতভাগ সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে ৮টি বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে। ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি, ডেলিভারি রোগীর বিশেষ যন্ত্র, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, শিশু রোগীর উন্নত চিকিৎসা, সব যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও রোগ নির্ণয় এবং হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে চলছে হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও চর্ম রোগে অভিজ্ঞ ডা. নুরুল আমীন, অর্থোপেডিক সার্জন ওবাইদুর রহমানসহ ৯ চিকিৎসকের নিরলস পরিশ্রমে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে আসছেন। স্লিপ দেয়ার স্থানে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ৫ টাকা দিয়ে স্লিপ সংগ্রহ করে রোগীরা চলে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ডাক্তারের চেম্বারের সামনে। চেম্বারগুলোতেও দীর্ঘ লাইন। আউটডোর এবং ইনডোরে শুধু রোগী আর রোগী।
৯ জন চিকিৎসক বিরামহীনভাবে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। ইনডোরে রোগীদের ওয়ার্ডগুলোতে টাইলস শোভা পাচ্ছে। পরিষ্কার পরিছন্নতার জন্য রোগী এবং আত্মীয়দের খাওয়ার জন্য হাসপাতাল ডাইনিং রুম তৈরি করা হয়েছে। জটিল রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
২০০৫ সালে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর সহকারী চিকিৎসক মোমিনুল ইসলাম মোমিন জানান, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমীন যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান। এখন একটি সিস্টেমের মাধ্যমে চলছে সব কিছু। আল্টাসনো, এক্স-রে, ইসিজি, ডেন্টাল সরঞ্জামাদি, নেবুলাইজার, অ্যামবুলেন্স সব কিছুই এখন সচল। রোগীরা এখন নিয়মিতভাবে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। এক্স-রে, ইসিজি, নেবুলাইজার ও প্যাথলজি বিভাগ থেকে চাহিদা মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে পাচ্ছেন রোগীরা। সপ্তাহে ৩ দিন আল্ট্রাসনো এবং সিজারিয়ান সমস্যার ও সমাধান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর থেকে শিশু কন্যার চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন হাবিবুর রহমান। নিজের শিশু কন্যার চিকিৎসা পাওয়ার পর তিনি জানান, হাসপাতালে কিছু একটা পরিবর্তনের আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। আগেও হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এমন দেখিনি। বাহিরচর মসলেমপুর গ্রাম থেকে এসেছেন শাকিল হোসেন নামের এক যুবক। তিনি স্লিপ সংগ্রহ করে মেডিসিন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুল আমীনকে দেখানোর জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন। এসময় দেখা যায় প্রায় ৬০ জন রোগীর দীর্ঘ লাইন। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীরা চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ঔষুধ পেয়ে খুশি।
নওদা ক্ষেমিরদিয়ার গ্রাম থেকে আসা শাকিল হোসেন জানান, হাসপাতাল এখন অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হাসপাতালে এলেই চিকিৎসা, ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় যখনই আসি না কেন, চিকিৎসা পাচ্ছি আমরা।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. নুরুল আমীন জানান, উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখন হাসাপাতালের সব ইউনিট প্রস্তুত। স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়েই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চলেছি আমরা। স্থানীয় দানশীল ও বৃত্তবানরা হাসপাতালের উন্নয়নে এগিয়ে এলে প্রভূত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যেত স্বাস্থ্যসেবায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়