৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনমন্ত্রী : বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে দুঃখিত ও লজ্জিত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারাঙ্গণে চলমান অস্থিরতার ঘটনায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত। বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন বিষয়টি হাইকোর্ট তার এখতিয়ারের মধ্যে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যদি আমার কাছে আসত তাহলে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। একজন বিজ্ঞ বিচারকের সঙ্গে যেই দুর্ব্যবহার করুক, সেটাকে বাংলার জনগণের একজন সদস্যও প্রশ্রয় দেবে না। আমি ঘটনার ভিডিও দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ্বাস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবী এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে না। এটা এক, দুই অথবা ৩ জন করতে পারে। যেহেতু হাইকোর্ট কনটেম্পট রুল জারি করেছে, এটা হাইকোর্টের এখতিয়ারে আমি কোনো কথা বলব না।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোনো ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানে যেটা নেই, সেটাও হবে না। সংবিধানে কেয়ার টেকার সরকারের কোনো বিধান নেই। কেয়ার টেকার গভর্নমেন্ট অবৈধ। সেজন্য কেয়ার টেকার গভর্নমেন্টের কোনো প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন হবে, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করবে। বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিবেন। ১০ তারিখে সবাই দেখেছে খালেদা জিয়া বক্তৃতা দেন নাই। অতএব জনগণও বুঝে কোনটা ভাওতা আর কোনটা সত্য।
কসবা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে মন্ত্রী জেলার আখাউড়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ আটক সিনিয়র নেতাদের জামিন বিষয়ে বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সরকার বা সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় আদলতে মামলা হওয়া বা চলাকালীন কোনো বিষয়েই হস্তক্ষেপ করেন না। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে শুনেছি যে, হাইকোর্টে যে জামিন দেয়া হয়েছিল, সেখানে কিছু আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।
এ সময় আইন সচিব গোলাম সোরওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়