সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

রামপুরার আতঙ্ক ‘আমিনুল বাহিনী’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরায় চাঁদাবাজি ও জমি দখল থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ একটি বিশেষ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে কিংবা অপকর্মের পথের কাটা হলে হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চাঁদাবাজির পাশাপাশি ফুটপাতে অবৈধ দোকান বসিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। অভিযোগ রয়েছে, এই বিশেষ বাহিনীর নেপথ্যে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম চালিয়ে এলেও তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ।
রামপুরার তিতাস রোডের একটি বাড়ির মালিক মালা দাস ভোরের কাগজকে বলেন, ২০১১ সালে জোরপূর্বক আমার জমি দখল করে নেয় আমিনুল ইসলাম। আমাকে পরিবারসহ মারধরে রক্তাক্ত করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে বাড়ি ফেরত পেলেও, দোকানগুলো ১১ বছর যাবত দখল করে রেখেছে আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে মামলা করেও কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে আমার স্বামী প্যারালাইসড হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দোকানগুলো উদ্ধার হলে, সেগুলোর ভাড়া দিয়ে অন্তত সংসার চালাতে পারতাম। রামপুরা বাজারের পাশে এক ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, প্রতি মাসে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হতো। সেটি কয়েক মাস দেয়ার পর, আর দিতে পারব না বলে জানাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমিনুল বাহিনী আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আমি আদালতে মামলা করি। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু জমি দখলই নয়, কেউ নতুন বাড়ি করতে গেলেও চাঁদা দিতে হয় আমিনুল ইসলামকে। এলাকার লোকজন আরো অভিযোগ করেন, আমিনুল ইসলামের যাবতীয় অপকর্মের অন্যতম সহযোগী চিহ্নিত অপরাধী কারাবন্দি রামপুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী কাইল্যা পলাশের ভাই ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ খান মিঠু ওরফে তারছিঁড়া মিঠু, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হিমেল, কালাম, রফিক, টাকলা বাবু, আকাশ, রমজান ও প্রান্ত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, মালা দাস নিজেই একজন জমি দখলদার। সে আমার বিরুদ্ধে যে জমি দখলের কথা বলছে, সেটির কোনো দলিল তার কাছে নেই। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে ব্যবহার করে আমার সম্মান হানির চেষ্টা করছে। আর লামিয়া এজেন্সির মালিকের মামলাও খারিজ হয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি মামলাই আদালতে করা হয়েছে। পরে অভিযোগ সত্য না হওয়ায় খারিজ হয়ে গেছে। যদি আমি অপরাধ করে থাকি, ভুক্তভোগীরা মামলা করুক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে দেখুক, আমি দোষী কিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়