সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর একটি প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত। অনিরাপদ গর্ভপাতজনিত মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য ‘মাসিক নিয়মিতকরণ’ (মিনিস্ট্রুয়াল রেগুলেশন-এমআর) অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শুধু নারীই না, পুরুষদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চেয়ারপারসন নাসিমুন আরা হক মিনু।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন (বিডব্লিউএইচসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থাটির গত ৪০ বছরের সফলতা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ অনুষ্ঠান ‘মিট দ্য প্রেস’ এ এসব কথা বলেন তিনি। নাসিমনু আরা হক বলেন, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অনিরাপদ ‘এমআর’। তাই একজন গর্ভবতীকে মাসিক নিয়মিতকরণের আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। মাসিক নিয়মিতকরণের ফলোআপ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো জটিলতা বা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। নারীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
সংস্থাটির ভাইস চেয়ারপারসন জাহানারা সাদেক বলেন, ১৯৯০ সালে ‘এমআর’ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তখন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি বলে আজ কথা বলতে পারছি। সেই সময়ে ট্যাবু (সামজিকভাবে যেটি প্রকাশ্যে বলা মানা) ভাঙাই ছিল চ্যালেঞ্জ। আজ অনেকটাই এগিয়েছি বলতে হবে। আমরা এখন মেয়েদের ‘মাসিক’ নিয়ে কথা বলতে পারছি। তবে এই কথা বলাতেই আমরা সীমাবদ্ধ নই। আমরা এখন কাজ করছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র নারীদের নিয়ে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শরীফ হেলাল বলেন, দেশের বিভন্ন স্থানে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করে বিপুল সংখ্যক জনগণকে নিরাপদ এমআর, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, শিশু স্বাস্থ্য, টিকাদান কর্মসূচিসহ সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে পেরেছি। এমনকি নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, বাল্যবিয়ে রোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা চা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছি। এখন কাজ করবো চরাঞ্চলের মানুষদের নিয়ে। তাদের নিয়ে কাজ করাটা এখনো চ্যালঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জকে আমরা গ্রহণ করেছি আগামীর বাংলাদেশকে সুন্দর করার জন্য।
১৯৮০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিডব্লিউএইচসি নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৭ কোটি ৮৮ লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবাসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়