সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ : বিএনপির কর্মসূচিই প্রমাণ করে দেশে অস্থিরতা চায় তারা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সা¤প্রতিক কর্মসূচিতে প্রমাণিত তারা দেশে অস্থিরতা চায়। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে। ১১ জানুয়ারি ফের অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানেও অস্থিরতার চেষ্টা চালাবে। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর যেমন আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের গণমিছিলের দিনও সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ভবিষ্যতেও কর্মসূচির নামে যদি তারা বিশৃঙ্খলা চায়, তাহলে উচিত জবাব দেব। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা নেই। সেক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করছে, করবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতার অপচেষ্টা চালালে জনগণ প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে।
বিএনপি সরকারের বিদায় চায়- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপি সাড়ে ১৩ বছর ধরেই সরকারের বিদায় চাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহে তাদের ইন্ধন ছিল, তখন থেকেই তারা সরকারের বিদায় চাচ্ছে। সরকারকে বিদায় দিতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে। অন্য কোনো পথে সরকারের বিদায় দেয়া সম্ভব নয়, এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। কিন্তু তারা সেটিতে বিশ্বাস করে না, তারা পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে না।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অভিনয় শিল্পী সংঘের মতবিনিময় : এর আগে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী দেশের টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, নির্বাহী সদস্য মাজনুন মিজান, সদস্য হৃদি হক, সংগীতা চৌধুরী ও আইনুন নাহার বৈঠকে অংশ নেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেয়া শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে টেলিভিশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০টিতে। আমরা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর আজ পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৪৬টি, স¤প্রচারে আছে ৩৬টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং আরো কয়েকটি খুব সহসা স¤প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিল্পীদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যতটুকু সম্ভব সবই পূরণের চেষ্টা করছি। যে সব দাবি-দাওয়া ছিল না, সেগুলোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কিনা, সেটি আলোচনা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়