সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতার গুলিতে রিকশাচালক নিহত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন কামালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ওই এলাকায় মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হন আরো দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামালের ছোট ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের গুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী পৌর সদরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিকশাচালক মামুন হোসেন ঈশ্বরদী পৌরসভার পিয়ারাখালী মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে। আর গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন রকি হোসেন (২৬) ও সুমন হোসেন (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন যুবক বুধবার রাত ৯টার দিকে কড়ইতলা এলাকায় একটি নসিমন থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় নসিমনটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে পেছনে থাকা একটি লেগুনার। এতে লেগুনার সামনের কাঁচ ভেঙে যায়। নসিমনচালকের চাবি কেড়ে নিয়ে তার কাছ থেকে জরিমানা দাবি করেন লেগুনাচালক। এতে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে নসিমনচালক ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন যুবক এসে নসিমনচালককে কেন তাড়ানো হয়েছে- এ বিষয়ে লেগুনাচালকের পক্ষের লোকজনের কাছে জানতে চান। এতে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করেন।
এতে স্থানীয় রিকশাচালক মামুন হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা রকি হোসেন ও সুমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ রকি হোসেন ও সুমনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের ভাই পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া এলাকার নিজের বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাকে আটক করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে। নিয়ে যাওয়ার সময় মারধর করেছে, খারাপ ব্যবহার করেছে। এভাবে তুলে নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে আদালতে পাঠানোর দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে র‌্যাব-১২ পাবনার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) কিশোর রায়ের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়