ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

স্মৃতিতে বিবিসি বাংলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ৩১ ডিসেম্বর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার। ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) রেডিও থেকে বাংলা অনুষ্ঠানের সম্প্রচারের শুরু। গত ১১ অক্টোবর বিবিসি বাংলা ৮১ বছর অতিক্রম করেছে, এমন সময়ে বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রোতাদের জন্য সত্যিই বেদনার ও স্মৃতিময় বহু কষ্টের পরিসমাপ্তি। নিঃসন্দেহে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসি বাংলা শ্রোতা পাঠকের হৃদয়ে একটি স্থায়ী আসন লাভ করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি বাংলা নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারে বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল। গত আট দশকের বেশি সময় ধরে বিবিসি বাংলা তার নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতস্ত্র্যবোধ বজায় রেখে শ্রোতা পাঠকের কাছে তার আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শহর, গ্রাম ও বহির্বিশ্বে বাংলাভাষী শ্রোতা পাঠকের কাছে অন্যান্য আন্তর্জাতিক বেতার অজানা থাকলেও বিবিসি বাংলা এখনো একটি ব্র্যান্ড ও পরিচিত নাম। তবে এ কথা সত্য রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হলে বিবিসি বাংলা ডিজিটাল শ্রোতা পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারলেও চিরতরে হারাবে গ্রামের মাঠে ময়দানের অগুনিত শ্রোতা ও একনিষ্ঠ ভক্ত।
বিবিসি বাংলার ঘোষণায় বলা হচ্ছে, বিবিসি বাংলা টিভি কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারে আরো সক্রিয় হবে এবং সরব উপস্থিতি দেখাবে। ১৯৭১ সালে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোতে, যখন বিশ্বে^ এখনকার মতো এত গণমাধ্যম ছিল না, তখন লন্ডনভিত্তিক বিবিসি প্রায় দিশাহারা বাঙালি জাতিকে সঠিক তথ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা জোগায়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম, ক্রান্তিকাল, নির্বাচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বিশেষ করে আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় বিবিসি বাংলা ছিল গ্রাম, শহর ও বহির্বিশ্বে নিরপেক্ষ সংবাদের মূর্ত প্রতীক। বিবিসি তার নিরপেক্ষতা, তথ্যবহুল প্রতিবেদন, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান ও পেশাদারিত্বের জন্য গণমানুষের কাছে এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। বিবিসি বাংলা রেডিও শ্রোতা পাঠকের মণিকোঠায় বহুদিন আলোর দিশারি হয়ে বেঁচে থাকবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও বিবিসির প্রাণবন্ত তরতাজা খবর বিবিসিকে চির তরুণের মতো উচ্ছ¡ল ও উজ্জ্বল রাখুক, সে প্রত্যাশা করি।

মো. জিল্লুর রহমান : গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়