প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক নেতৃত্ব আর এদেশের মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ফলে। বিশেষ করে বিগত ২০২২ সাল ছিল সরকার এবং দেশের জনগণের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ এই সালটিতেই করোনা প্রায় আয়ত্তে আসার পর হঠাৎ করে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে পুরো পৃথিবীকেই চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এবং এখনো তা করে যাচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সঙ্গে নিয়ে কালের ঘূর্ণাবর্তে পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে গেছে আরো একটি বছর। বিগত বছরে প্রাপ্তি যাই হোক নতুন বছরের জন্য অনিঃশেষ শুভ কামনা থাকবে সবার। বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্নভাব পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের কারণে বিগত বছরটি ছিল পৃথিবীব্যাপী বেশ উত্তেজনাময়। এই যুদ্ধ পৃথিবীর অনেক দেশেই জ্বালানি সংকটসহ খাদ্য স্বল্পতার সৃষ্টি করেছে, ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জ্বালানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে পৃৃথিবীর কোথাও খাদ্যশস্য রপ্তানি হতে না পারায় দেশে দেশে খাদ্যের দামও বেড়েছে হু হু করে। এতে এশিয়ার বেশ কিছু দেশের দরিদ্র মানুষগুলোর কষ্ট কেবল বেড়েছে। বর্তমানেও এ যুদ্ধ চলমান রয়েছে। নতুন বছরে পৃথিবীর মানুষের একমাত্র চাওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দেখা এবং দেশ দুুটিতে শান্তির পায়রা উড়ানো। এ বিষয়ে জাতিসংঘকে অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ পৃৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যে কোনো মূল্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একযোগে সহযোগিতায় এগিয়ে এলে নতুন বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি দেখবে বিশ্ববাসী- এমন প্রত্যাশা করাই যায়। বিগত বছরে দেশের অবকাঠামোগত যেমন- রাস্তা-ঘাট, মসজিদ, মন্দির, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, সেতুসহ বিভিন্ন ভবন হয়েছে প্রচুর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকলেও মানুষের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। যেহেতু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কিছুদিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেহেতু নতুন বছরে দ্রব্যমূল্যের বাজার দরের বিষয়টি যে কোনোভাবেই সরকারকে অবশ্যই লাগাম টানতে হবে। তা না হলে দেশের মধ্যবিত্তসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ বাড়বে। নতুন বছরে দেশ-বিদেশে চাকরির বাজার সৃৃষ্টিসহ বেশকিছু কাজ খুব দ্রুতগতিতে সমাপ্ত করতে হবে।
বিশেষ করে দেশে বেকার সমস্যা বেশির ভাগ সমাধানের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে কলকারখানা গড়ে তোলার জন্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের শ্রমবাজারমুখী করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিদের যে কোনো উপায়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রয়োজনবোধে বিদেশিদের জন্য আরো রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী তথা পোশাকশিল্প অন্যতম। পোশাকশিল্প থেকে সরকার প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে, যা আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। নতুন বছরে পোশাকশিল্পকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়েও গার্মেন্টস মালিকদের মানবিক পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি হবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।