ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে ঘোচানো যাবে বেকারত্ব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে যারা দেশকে অধিক গতিশীল করতে শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল ধারার ধারাপাত ঘটান প্রচলিত অর্থে তারাই উদ্যোক্তা। বর্তমানে চাকরির বাজার রয়েছে বেহাল অবস্থায়। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে শিক্ষিত যুবকদের চাকরির পেছনে দৌড়ানোর চিত্র বলে দেয় কেমন হবে বাংলাদেশের আগামীর অর্থনীতি। বেকার যুবকদের রয়েছে চাকরির পেছনে দৌড়ানো এবং উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহহীনতা। অবশ্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরিহীন শিক্ষিত যুবাদের গ্রহণ করতে পারে না সমাজ। পরিবারের কাছেও এরা বোঝাস্বরূপ। অবশ্য চাকরি পাওয়াটা ভাবনার মতো সহজ বাস্তব না। এর জন্য দিতে হয় ভঙ্গুর পথ পাড়ি, দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। আবার যার মেধা বেশি কিন্তু‘ ঘুষের অঙ্ক কম, তার চাকরি না পাওয়ার প্রবণতা তত বেশি। দেশের চাকরির বাজারে এই অবস্থা চললেও আমরা উদ্যোক্তা হতে চাই না। কারণ এতে শ্রম বেশি লাগে প্রয়োজন হয় অধিক অধ্যবসায়ের। উদ্যোক্তা হলে ব্যর্থ হতে হয় এই ভয়ে আমরা নিতে চাই না উদ্যোগ। প্রতিটি সফলতার পেছনেই থাকে শত ব্যর্থতার গল্প। প্রসঙ্গ বিবেচনায় একজন উদ্যোক্তার কথা তুলে ধরা যেতে পারে, দেশের দক্ষিণের জেলা ল²ীপুরের এক নারী উদ্যোক্তার কথা না বললেই নয়। ১৯ বছর বয়সি তুষি আক্তার নামের এক তরুণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলে শুরু করেন ব্যবসা। আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। এমন হাজারো ছোট-বড় উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্প জানা আছে আমাদের অনেকের। বর্তমানে দেশে চাকরির ক্ষেত্র এবং চাকরি প্রার্থী বাড়ার পাশাপাশি বর্ধিত হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার পথও। বেসরকারি চাকরির বাজার যতটুকু প্রসারিত হয়েছে সেক্ষেত্রে কাজ জানলে চাকরির অভাব হয় না। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমরা দক্ষ না। ফলে জীবনময় জুড়ে বসে বেকারত্বের মতো ভয়াবহ অভিশাপ।
অবশ্য সবাই যে উদ্যোক্তা হতে হবে তা কিন্তু‘ নয়। শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি চাকরির আশা রাখার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও কাজ আরম্ভ করে দিতে হবে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দেয়া হচ্ছে হাতে-কলমের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। সেসব সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ফলে চাকরি হোক কিংবা না-ই বা হোক, উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে ঘোচানো যাবে বেকারত্বের অভিশাপ।

জিহাদ হোসেন রাহাত : শিক্ষার্থী, প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ, ল²ীপুর।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়