বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গিরা : অনলাইনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও শঙ্কা কাটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও অভিযানের মধ্যেও জঙ্গিরা নানাভাবে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যায় পথভ্রষ্ট হয়ে হিজরতের নামে গত ২২ ডিসেম্বর ঘর ছাড়ে ৯ তরুণ-তরুণী। এরপর র‌্যাব তাদের চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। কাউন্সেলিংয়ের পর কথিত হিজরতকারীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে এবং পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। সর্বশেষ গত সোমবার দুপুরে র‌্যাব তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তরুণ প্রজন্মের এমন ভুল ও ধ্বংসাত্মক পথে চালিত হওয়া শঙ্কাজনক। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে আল কায়দাপন্থি ঘরছাড়া ৬ যুবককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা অনলাইন থেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে সশস্ত্র জিহাদ করার পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠিত হচ্ছিল। জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনভিত্তিক অ্যাপসে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে তারা দল গঠন করে। পরে স্থানীয় সহযোগীদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টেকনাফে অবস্থান করে সশস্ত্র জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। কয়েক বছর ধরে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ড না থাকলেও তারা ভেতরে ভেতরে সুসংগঠিত হওয়ার কাজ করছে, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি। তারা যদি আবারো সহিংস কর্মকাণ্ডে ফিরে আসে তবে বাংলাদেশের জন্য তা বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। হিজরতের ঘটনায় জঙ্গিবাদের নতুন মেরুকরণে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে হলি আর্টিজান হামলা একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা বলে মনে করি। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। বলা যায়, দেশে জঙ্গি তৎপরতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগাম তথ্য নিয়ে বেশকিছু জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। এই তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জঙ্গি ধরপাকড়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে নতুন করে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়ার ধারাও। পাশাপাশি জঙ্গি দমন অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের গোপন তৎপরতা কীভাবে ও কিসের জোরে চলতে পারছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধ হয়নি, তাদের জনবল সংকটও স্থায়ী হয়নি। আমরা মনে করি, জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ হলে এদের অপতৎপরতাও কমে যাবে। জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। গত সোমবার গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা আল কায়দার মতাদর্শ অনুসারী। অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট দেখে তারা ভুল মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। অনলাইন থেকে এসব কনটেন্ট মুছে ফেলতে হবে এবং অনলাইনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া প্রতিটি সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেয়া এবং তাদের গতিবিধির দিকে পরিবারের নজর রাখা জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়