সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার জিএমকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃপক্ষ।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সংকটে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২০ ডিসেম্বর উৎপাদনে যায় যমুনা সার কারখানা। এরপর থেকে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকালে যমুনার এমডির নির্দেশে কারখানা গেটে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা পর্যবেক্ষণ করছিলেন জিএম (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় কাজে যোগদানের সময় নির্ধারিত করা থাকলেও ব্যাগিং সেকশনের মাস্টার অপারেটর ও যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মঈন উদ্দিন সকাল ৯টায় কারখানার গেটে আসেন। এ সময় তাকে হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করতে বলেন জিএম প্রশাসন। এতে মঈন উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নালিশ করেন।
এতে সিবিএর সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী উত্তেজিত হয়ে অন্য শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পাশে জটলা তৈরি করেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ জটলা চলাকালে জিএম দেলোয়ার হোসেন প্রশাসনিক ভবনের নিচে নেমে আসেন। তাকে দেখে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তারা দেলোয়ার হোসেনকে কারখানার গাড়িতে না চড়তে দিয়ে বের করে দেন।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন, সোমবার কারখানার গেটে সিবিএকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন জিএম দেলোয়ার হোসেন। এ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জিএম দেলোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা নিয়ে নিউজ করতেও সাংবাদিকদের নিষেধ করেন সিবিএর এ নেতারা।
জিএম দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারখানার এমডির নির্দেশে দেরিতে কাজে যোগদানকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। আধাঘণ্টা দেরিতে কাজে যোগ দিতে আসেন মঈন উদ্দিন। এ কারণে তাকে হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এ নিয়ে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে কারখানার গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঞ্ছিত করে এবং কারখানা থেকে বের করে দেয়।’
যমুনা সার কারখানার এমডি শহীদুল্লাহ খান জানান, ঘটনা তদন্তে বিসিআইসির জিএম (পার্সেল) শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।