বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

নবাবগঞ্জে ৪০ বছর পর দখলমুক্ত ‘ব্রজ নিকেতন’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছর আগে তৎকালিন জমিদার ব্রজেন রায় ওরফে সুদর্শন রায় কর্তৃক নির্মিত ব্রজ নিকেতন নামের নান্দনিক বাড়িটি বাংলাদেশ সরকারের অর্পিত সম্পতি হিসেবে তালিকাভুক্ত বলে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে বাড়িটির মূল ফটকে সরকারি সম্পতি হিসেবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে পুলিশ ও আনসার পাহারায় রেখেছে।
এদিকে ওই বাড়ির ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবি করেন খন্দকার আবুল কালাম গং। তাদের দাবি, প্রায় ৪০ বছর ধরে ক্রয়কৃত সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি ভোগদখলে আছেন। হঠাৎ কোনো আইনি নোটিস বা আদালতের নির্শেনা ছাড়াই প্রশাসন তাদের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরেই তাদের এ ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানা যায়, ব্রজ নিকেতন নামের বাড়িটি বাংলাদেশ সরকারের অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত এবং উপজেলার হযরতপুর মৌজার অর্পিত সম্পত্তি কেস নং ১২৮৩/৬৭ ও ৩৪৭/৮৫ এর আওতাধীন এসএ ২৯, ২৮ ও ২৭ নং দাগে ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে গেজেটভুক্ত রয়েছে। দীর্ঘদিনে একটি মহল জবরদখল করে জজবাড়ী নামে ফলক লাগিয়ে ভোগ করেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, একটি অশুভ চক্র সুদীর্ঘ বছর ধরে পেশি শক্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রায় জমিসহ প্রায় শতকোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ও সম্পত্তি দখল করে রাখে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, তার সহোদর অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আবুল হোসেন, আবুল কালাম খন্দকারসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা অবৈধভাবে এই ব্রজ নিকেতন দখলে রাখে। অবশেষে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর ব্রজ নিকেতন ভবনটি অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সম্পত্তি সরকারের দখলে রয়েছে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম খন্দকার বলেন, আমাদের কোনো নোটিস না দিয়ে এক প্রকার জোরপূর্বক বাড়িটি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কোনো আইন কানুনের ধার ধারেনি প্রশাসন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে জজবাড়ী থেকে আমাদের পরিবারকে বের করে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়